সাহিত্য জাতির দর্পণস্বরূপ ।ভাবসম্প্রসারণ
সাহিত্য জাতির দর্পণস্বরূপ ।
মানুষের দর্শন,বিঞ্জান ,ধর্মনীতি,অনুরাগ –বিরাগ,আশা নৈরাশ্য ,তার অন্তরের সত্য ও স্বপ্ন –এ সবই সাহিত্য ।দর্পণে যেমন আমাদের পুর্ণাঙ্গ মুখচ্চবি প্রতিফলিত হয় ,তেমনি সাহিত্যেও একটি জাতির পরিপূর্ণ চিএ ফুটে ওঠে ।ইংরেজিতে তাই বলা হয়,Literature is the criticism of life- সাহিত্য জীবন –সমালোচনা । যে জাতি যত উন্নত সে জাতির সাহিত্য তত সমৃদ্ধ ।সাহিত্যের মাধ্যমেই একটি জাতির অবস্থান সম্বর্কে ধারণা লাভ করা যায় ।কেননা প্রত্যেক জাতির কবি-সাহিত্যকগণেই তাঁদের লেখনীয় নিপুণ আঁচড়ে সে জাতির নিজস্ব জীবনধারাও বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলেন ।যেমন,লিয়েফ তলস্তয়ের ‘ওয়অর এন্ড পিস’এ যুদ্ধ নয় শান্তিই বড় হয়ে ওঠে;ভল্টেয়ার রুশোর সাহিত্য স্বেচ্ছাচারী ফরাসি রাজশক্তির বিরুদ্ধে গনমনকে চেতনাদীপ্ত ও অনুপ্রাণিত করেছে;মাক্সিম গোর্কির সাহিত্য জারের জন্য বলে উঠেছিলেন ‘শিকল পরা ছল/মোদের এই শিকল্প পরা ছল’ কিংবা Mrs . Hsrriet beecher stowe- এই Uncle tom`s Cabin ‘ থেকে আমরা তৎকালীন আমেরিকার কৃষ্ঞকায় ক্রীতদাসদের ওপর অমানবিক নিযাতনের কথা জানতে পারি। এমনিভাবে সাহিত্য জাতির সমসাময়িক গৌরব ও উন্নতি –অবনতির কাহিনি বিধৃত হয় ।জাতির অতীত ইতিহাস ও ঐতিহ্য সাহিত্যর বিষয়বস্তু হিসেবে গৃহিত হয় ।জাতির হিসেবে কোনো দেশের মানুষ বর্তমান বিশ্বে কতটা অগ্রসর তা সে দেশের সাহিত্য পাঠে সহজেই জানা যায় ।তাই কোনো জাতিকে জানতে হলে সে জাতির সাহিত্যর সঙ্গে পরিচিত হতে হবে ।জাতীয়জীবনে মানুষের উথান পতন,প্রেম-ভালবাসা ,সুখ-দু:খের কাহিনি স্বীয় বৈশিষ্ট্যে নিয়ে সাহিত্যে ধরা পড়ে ।তাই ,সাহিত্য কেবল কবির কবিতা ও সাহিত্যকের রচনা নয় ,তা একটি জাতির সংস্বৃতির ধারক ও বাহক ।
সাহিত্য জাতির দর্পণস্বরূপ ।
সম্প্রসারিত ভাব : সাহিত্যিকগন মানুষের জীবনকে নিরীক্ষণ করেন বাস্তবের আলোকে ।চলমান জীবনের গতি প্রকৃতিই তাদের মূল আলোচ্য বিষয় । তাঁরা চারপাশের জীবনকে উপেক্ষা করেন না ।জাতির আশা আকাঙ্ক্ষা তাঁদের রচনায় প্রতিফলিত হয় ।জাতিয় জীবনের ইতিহানস সাহিত্য স্থান পায় ,জা্তীয় ঐতিহ্য নিবিড়ভাবে জড়িত ।যে জাতির সাহিত্য যত বেশি উন্নত ,সে জাতি তত বেশি উন্নত বলে বিবেচিত হয়ে থাকে ।জাতীয় জীবনের বৈশীষ্ঠ্য এমনভাবে প্রতিফলিত হয় বলে জাতীয় সাহিত্য জাতির পরিচয় সহজে লাভ করা সম্ভব ।প্রত্যেক জাতির সাহিত্য পাঠ করে সে জাতির আচার-অনষ্ঠান ,রীতি-নিতি প্রভৃতির পরিচয় পাওয়া যায় ।জাতির উন্নতির মাপকাঠি সে জাতির সাহিত্য ।সাহিত্য আয়নার মতো ।সেখানে সবকিছু সবকিছু স্বচ্ছ দেখা যায়
সাহিত্য জাতির দর্পণস্বরূপ ।
সাহিত্যর মাধ্যমে একটা জাতির ধ্যান-ধারণা ও চিন্তা-ভাবনার প্রকাশ ঘটে ।তাই কোনো জাতির সাহি্যে থেকে সে জাতিকে চেনা যায় ;সাহিত্যর মধ্যেই পাওয়া যায় জাতির মন ও মননের আসল পরিচয় ।আয়নায় যেমন চেহারা ফুঠে ;তেমনি জাতির পরিচয়ও প্রতিফলিত হয় তার সাহিত্যের মধ্যে ।কবি –সাহিত্যিকগণ নিজের সমাজের মানুষ ও তার জীবন সম্পর্কে নিজেদের চিন্তাধারা প্রকাশের মাধ্যমে জাতিয় জীবনের বৈশিষ্ট্য ফুলিয়ে থাকেন ।তাঁরা চারপাশের জীবনকে উপেক্ষা করেন না ।সেজন্যে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা তাঁদের রচনায় প্রতিফলিত হয় ।জাতীয় জীবনের ইতিহাস সাহিত্য স্থান পায় জাতীয় ঐতিহ্য সাহিত্যের উপকরণ হিসেবে বিবেচিত হয় ।সাহিত্য জীবনের সাথে সম্পর্কিত জীবন ঘনিষ্ঠ এবং জীবননির্ভর ।`literature is the criticism of life’,-সাহি্স্যে জীবনের সমালোচনা ।যেকোনো জাতির উন্নতির মাপকাঠি সে জাতির সাহিত্যে ।সেজন্যে সাহিত্যে পাঠের মা্ধ্যমে জাতির অন্তর –মনের পরিচয় পাঠকের চোখে ধরা পড়ে ।সাহিত্যের পরিধি বিশাল ও ব্যাপক ।সাহিত্যে বিধূত হয় যুগ পরিবেশ ।যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের জীবনের পরিবর্তনকে সাহিত্যে ফুটিয়ে তোলে ।চিরায়ত সাহিত্য আমাদের আজীবন প্রভাবিত করে ।লিও তলস্তয়ের ওয়অর এন্ত পিস আমাদেরক েশান্তির বাণী শোনায় ।ম্যাক্সিম গোর্কি,সুকান্ত বা নজরুলের সাহিত্যকর্ম আমাদেরকে শোষকের বিরুধ্ব সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করে ।জাতিয় জীবনের যথার্থ পরিচয় প্রকাশের ব্যাপারে সাহি্ত্যের এসব অবদানের কথা বিবেচনা করে সাহিত্যকে জাতির দর্পনের সঙ্গে তুলনা করা হয় ্একটা দেশের বা জাতির উথঅন-পতন ,প্রেম-ভালবাসা ,সুখ-দুঃখের কাহিনে সাহিত্য ধরা পড়ে ।সুতরাং সাহিত্য কেবল কবির কবিতা ও সাহিত্যর সাহিত্যকর্ম নয় ,এটি একটি জাতির সংস্কৃতির ধারক ও বাহক ।