সত্যতা কাকে বলে?

 সত্যতা কাকে বলে?

সত্যতা  কাকে বলে?

উওরঃ

ভূমিকাঃ 

জ্ঞানবিদ্যা দর্শনের একটি প্রধান শাখা। আর  সত্যতা সম্পর্কীয় সমস্যা জ্ঞানবিদ্যা একটি অতি  পরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। সত্যের অনুসন্ধান করা মানুষের স্বাভাবিক ধর্ম। সত্যের প্রশ্ন ও জ্ঞানের প্রশ্ন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যখনই কোন বস্তু জ্ঞান হয়,তখনই প্রশ্ন উঠে এ জ্ঞান সত্য কি না। অর্থাৎ জ্ঞানের অবস্হার মূল্যায়ন থেকেই জ্ঞানের যথার্থতা বা বৈধতা বা সত্যতা মিথ্যাত্ব নিরূপণের প্রশ্ন দেখা দেয়। তবে বিষয় বা ঘটনার ক্ষেত্রে সত্যতা মিথ্যাত্ব নিরূপণের প্রশ্ন উঠে না,বরং সত্যতা মিথ্যাত্ব  নিরূপণর প্রশ্ন বিষয় বা ঘটনার সাথে জড়িত অবধারণ বা বাক্যের ক্ষেত্রে উঠে। আর অবধারটি সত্য কি না তা নিরূপণ করা হচ্ছে সত্যতা নিরুপণের সমস্যা।

সত্যতাঃ সাধারণ অর্থে ‘সত্যতা বলতে অবধারণের সাথে অবধারণের বিষয়ের অনুরূপতা বা মিল বুঝায়। দৈনন্দিন জীবনে আমরা সত্যতা শব্দটিকে বিভিন্ন অর্থ ব্যবহার করে থাকি। যেমন-

১.খাঁটি বা প্রকৃতঃ দৈনন্দিন জীবনে অধিকাংশ সময়িই আমরা সত্যতা বলতে ‘খাটি বা ‘প্রকৃত’ শব্দের নির্দশ করে থাকি। অর্থাৎ নির্ভেজাল বা প্রকৃত শব্দকে বুঝাতে গিয়ে সত্য শব্দটি প্রয়োগ করে থাকি। উদাহরণস্বরূপ ,বাজারের কোন জিনিসকে যেমন খাঁটি বা প্রকৃত হিসেবে ব্যবহার করা হল।

২.ব্যক্তি বিশেষের প্রতি গুরুত্বারোপঃ কোন ব্যক্তি বিশেষের প্রতি গুরুত্ব প্রদর্শন করতে গিয়ে সত্যতা শব্দটি ব্যবহার করা হয়্ উদাহরণস্বরূপ,কোন শিল্পীকে সত্যিকারে শিল্পী বলা হলে ব্যক্তিটির মধ্যে যে শিল্পীসুলভ গুণ রয়েছে তা নির্দেশ করা হয়। এখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির গুরুত্ব উল্লেখ করতে গিয়ে সত্য শব্দটিকে ব্যবহার করা হয়।

৩.বচনের গুণঃ কোন কোন সময় কোন বচনের গুণ বা বৈশিষ্ট্যকে প্রকাশ করতে গিয়ে সত্যতা শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তবে সত্যতা বলতে বচনের বৈশিষ্ট্রকেই নির্দশ করে।

দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যতা শব্দটি প্রধানত পৃথক দুটি অর্থে ব্যবহার করা হয়। যথাঃ১.আকারগত সত্যও ২.উপাদানগত সত্য

১. আকারগত সত্যঃ হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্তের সাথে যুক্তির নিরয়মানুযায়ী মিল থাকলে অবধারণ বা অনুমানকে আকারগত সত্য বলা হয়। আকারগত সত্যতাকে যথার্থতা বা বৈধতা বলা হয়।

২উপাদানগত সত্যঃ হেতুবাক্য ও সিদ্ধঅন্তের সাথে যুক্তির নিয়মানুযায়ী মিল ছাড়াও অবধারণ বা অনুমানটির সাথে বিষয় বা ঘটনার মিল থাকলে তাকে উপাদানগত সত্য বলা হয়। উপাদানগত সভ্যতাকে সত্য বলা হয়।

সত্যতা শব্দটি বচন সম্পর্কিত বিষয়। অর্থাৎ বচনের সাথে সম্পৃক্ত। কোন বচন কেবল সত্য বা মিথ্যা হওয়ার যোগ্যতা রাখে। তাই সত্যতা বা  মিথ্যাত্ব বচনের একটি প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য ।বচনের সত্যতা জানার ব্যাপারে বার্ট্রান্ড রাসেল বলেছেন,বচনের সত্যতা জানার ব্যাপারটি একটি আকস্মিক মনস্তাও্বি ঘটা মাএ। আমরা বচনটির সত্যতা বা মিথ্যাত্ব জানতে না পারলেও বচরটি সত্য অথবা মিথ্যা হতে কোন বাধা নেই। অর্থাৎ বচনটি সত্য। কিন্তু আমরা হয়তো তা জানতে  পারছি না। সত্যতা নিজেই নির্ণায়ক।

উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে,যেসব ধারণাকে আমরা বুঝতে পারি,পরখ করতে পারি,সঙ্গত করে প্রমাণ করতে পারি সেগুলোই সত্য। মানবিক প্রয়োজনই সত্য নিরূপনের একমাএ মাপকাঠি। সুতরাং সত্যতা দর্শনে একটি গুরূত্বপূর্ণ বিষয়।

সত্যতার মানদন্ড বলতে কী বুঝ?

ভূমিকাঃ জ্ঞানের অবস্হার মূল্যায়ন থেকেই জ্ঞানের যথার্থতা বা বৈধতা (Validity of knowledge) বা সত্যতা -মিথ্যাত্ব নিরূপণের প্রশ্ন দেখা দেয়। এ প্রসঙ্গে বলা যায়,বিষয় বা ঘটনার (Fact)ক্ষেত্রে সত্যতা -মিথ্যাত্ব নিরূপণের প্রশ্ন উঠে না,বরং সত্যতা -মিথ্যাত্ব নিরূপণের প্রশ্ন বিষয় বা ঘটনার সাথে জড়িত অবধারণ বা বাক্যের ক্ষেত্রে উঠে। সত্যতার স্বরূপ জানতে হলে প্রথমে জানতে হবে কেন একটি বচন সত্য হয়। কেনই বা একটি বচন মিথ্যা।Bertrand Russell  বলেছেন ,‘‘বচনের সত্যতা জানার ব্যাপারটি  একটি আকস্নিক মনস্তাও্বিক ঘটনা মাএ। আমরা বচনটির সত্যতা বা মিথ্যাত্ব সত্যতা (truth) বলা হয়। সত্যের স্বরূপ ও পরীক্ষা বা মানদন্ড নিয়ে দর্শনে বিভিন্ন মতবাদ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। সত্যের পরীক্ষা বা মানদন্ড সম্পর্কীয় মতবাদগুলোর মধ্যে স্বতঃপ্রতীতিবাদ (the self- evidence theory)অনুরূপতাবাগ (the crrespondence theory),সঙ্গতিবা(the coherence theory) ও প্রয়োগবাদ (The Pragmatic Theory)উল্লেখযোগ্য।

উপসংহারঃ উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে,সত্যের পরীক্ষা বা মানদন্ড হিসেবে স্বতঃপ্রতীতিবাদ েএকটা সন্তোষজনক মতবাদ নয়।

সত্যতা সম্পর্কীয়  মতবাদগুলো আলোচনা কর।

ভূমিকাঃ দর্শন জগৎ ও জীবনের ব্যাখ্যা ও মূ্ল্যায়ন করে। জীবন ও জগতের জ্ঞান দর্শনের লক্ষ্য,অবধারণের মাধ্যমে তা ব্যক্ত হয় অবধারণ চিন্তার সরলতম উপাদান। েএটি জটিল যুক্তিবিন্যাসের প্রারম্ভিক স্তর। সকল অবধারণই সত্যতার দাবি রাখে,কিন্তু সকল অবধারণ সত্য নাও হতে পারে। যেমন-‘সকল মানুষ হয় মরণশীল’,জল বায়বীয়’-এখানে প্রথম অবধারণটি সত্য কিন্তু দ্বিতীয অবধারণটি মিথ্যা। অবধারণেল সততার উপর আমাদের চিন্তার বুনিয়াদ নির্ভর করে। তাই অবধারণের সত্যতা নিরূপনের মাধ্যমেই আমরা সত্যের স্বরূপ জানতে পারি।

সত্যতা সম্পর্কীয় মতবাদঃ দর্শনের ইতিহাসে সত্যের প্রকৃতি ও সত্যের পরীক্ষার রূপ নিয়ে দার্শনিকদের মধ্যে মতবাদ রয়েছে। এ মতবাদে পরিপ্রেক্ষিতে দর্শনের ইতিহাস আলোচনা করলে সত্যতা সম্পর্কীয় মোট চারটি প্রধান মতবাদের সন্ধান পাওয়া যায় । যা নিম্নে আলোচনা করা হলঃ

১.স্বতঃপ্রতীতিবাদঃ এ মতবাদ অনুসারে অবধারণের সত্যতা স্বতঃপ্রতীতি হয়। যেসব অবধাণরণ সংশয়াতীত সেই অবধঅরণসমূহ সত্য। অবধারণ সত্য কিংবা মিথ্যা উভয়ই হতে পারে। সত্য ও অসত্যের মাপকাঠিতে অবধারণ সন্দেহাতীত অথবা সংশয়মুক্ত হতে পারে। সন্দেহাতীত অবধারণের সত্যতা স্বতঃপ্রতীত হয় ।যেমন-২+২+=৪ ;ত্রিভুজের তিনটি কোণের সমষ্টি দুই সমকোণ ইত্যাদি। এ ধলণের অবধারণের থেকে যেসব অবধারণ বা  যুক্তিবাক্য পাওয়া যায় সেগুলো সন্দেহাতীত হতে পারে। বিখ্যাত দার্শনিক রেঁনে ডেকার্ট এ মতের প্রবর্তক।

সমালোচনা ঃস্বতঃপ্রতীতিবাদের কিছু সমালোচনা রয়েছে। যেমন-

প্রথমত,স্পষ্টতা ও পরিস্ফুটতা অবধাণের সত্যতা নিরূপণের একমাএ পথ বলে গ্রহণ করা যায় না। কেননা একটি অবধারণ একজনের নিকট স্পষ্ট ও পরিস্ফুট এবং অপরজনের নিকট অস্পষ্ট ও অপরিস্ফুট হতে পারে। সেক্ষেত্রে স্পষ্টতা ও পরিস্ফুটতা সত্যতা নিরূপণের মাপকাঠি হতে পারে না। 

দ্বিতীয়ত,স্বতঃপ্রতীতিবাদ সত্যতা পরিমাপের মানদন্ড হতে পারে না। এ মতবাদের সমর্থরা অবধারণের নিশ্চয়তা সম্পর্কে একমত হতে পারেন নি। ডেকার্টের মতে আত্নজ্ঞান সম্পর্কীয় অবধারন সর্বাপেক্ষা সংশয়াতীত ,কিন্তু স্পিনোজা  বলেন যে,খোদা সম্পর্কীয় অবধারণ সর্বাপেক্ষা সংশয়াতীত কিন্তু অবধারণের সত্যতা স্বতঃপ্রতীতির আওতাভুক্ত নয়।

২.অনুরূপতাবাদঃ এ মতবাদ অনুসারে অবধারণের সত্যতা নির্ভর করে ধারণা ও বস্তুর সামঞ্জস্যের উপর। যখান ধারণা বস্তুর অনুরূপ হবে তখন অবধারণ সত্য হবে। আর যখন  ধারণা বস্তুর অনুরূপ হবে না তখন  অবধারণ অসত্য হবে। যেমন -‘মধু  হয় মিষ্টি ‘এ  অবধারণটি সত্য। আবার ‘দুগ্ধ নীল’ এ অবধারণটি অসত্য। কারণ বাস্তব জগতে নীল দুগ্ধের কোন অস্তিত্ব নেই। 

‘অনুরূপতা, কথাটির সঠিক অর্থ কি? -এ নিয়ে দার্শনিকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। বিভিন্ন দার্শনিক বিভিন্নভাবে ‘অনুরূপকতা ‘শব্দের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যেমন-

লৌকিক বাস্তবাদীদের মতবাদঃ লৌকিক বাস্তববাদীদের মতে ,আমরা বস্তুকে সরাসরি জানতে পারি। তাই ‘অনুরূপতার ‘ অর্থ হল সরাসরি জ্ঞাত বস্তুর সাথে অবধারণের মিল। অর্থাৎ মানুষের জ্ঞান বাস্তব অবস্হায় অনুরূপ হরে তা সত্য হবেে,আর তা বাস্তব জগতের অনুরূপ না হলে মিথ্যা হবে।

বৈজ্ঞানিক বাস্তববাদীদের মতবাদঃ বৈজ্ঞানিক বাস্তববাদীদের মতে,বস্তুকে সরাসরি জানা যায় না। বস্তুর ধারণা বা প্রতীকের মাধ্যমেই বস্তুকে পরোক্ষভাবে জানা যায়। মনের ধারণার সাথে বাহ্যবস্তুর অনুরূপতা থাকলে অবধারণ সত্য এবং না থাকলে অবধারণ মিথ্যা।

সমালোচনাঃ অনুরূপতাবাদের কিছু সমালোচনা রয়েছে যা নিম্নে উল্লেখ করা হয়ঃ

প্রথমত,অনুরূপতা সম্পর্কে বিভিন্ন দার্শনিকদের বিভিন্ন মতবাদ পরস্পরবিরোধী। তাই এ মতবাদের সাহায্য অবধারণের সত্যতা প্রমাণ করা যায়না।

দ্বিতীয়ত,অনুরূপতাবাদীদের মতে,বাহ্যবস্তুর সাথে ধারণার মিল হলে অবধারণ িসত্য হয়। কিন্তু বাহ্যবস্তুকে সরাসরি জানা যায় না। তািই বাহ্যবস্তুর সাথে ধারণার অনুরূপতা যাচাই করার কোন সুযোগ নেই।

৩.সংগতিবাদঃ হেগেল ,ব্রাডলি,বোসানকো প্রমুখ দার্শনিক এ মতবাদের সমর্থক। তাদের মতে,কোন অবধারণই স্বতন্ত্রভাবে সত্য বা মিথ্যা হতে পারে না। কোন অবধারণ যখন অন্যান্য অবধারণের সাথে সংগতি পূর্ণ হয়ে সংবদ্বসন্ডলী গড়ে তোলে কেবল তখনই সেই অবধারণকে সত্য বলা চলে। সংবদ্ধমন্ডলী গঠন করতে না পারলে কোন অবধারণই সত্য্ হতে পারে না। যেমন-‘আম মিষ্টে’ এ অবধার স্বতন্ত্রভাবে সত্য বা মিথ্যা হতে পারেনা ।

সমালোচনাঃ সংগতিবাদের সমালোচনা নিম্নরূপঃ

প্রথমত,অনুরূপতাবাদীদের মতে,কোন অবধারণই স্বতন্ত্রভাবে সত্য বা মিথ্যা হতে পারে না। বস্ত্রবাদীরা এ মতবাদের সমালোচনা করে বলেন যে,কিভাবে েএকই অবধারণ আংশিকভাবে সত্য কিংবাা আংশিকভাবে মিথ্যা হতে পারে তা বুঝে উঠা ‍খূ্বই কঠিন।

দ্বিতীয়ত,সংগতিবাদ বচনের অভ্যন্তরীণ সম্বদ্ধের উপর নির্ভরশীল। সমালোচকদের মতেে্ ,এটি বিভ্রান্তিকর। কেননা কোন বচন সত্য না মিথ্যা এ প্রশ্নটি বচনটি সত্যতা যেসব পূর্বশর্তের উপর নির্ভর করে তা জ্ঞানের উপর নির্ভর করে না।

৪.প্রয়োশবাদঃ উইলিয়াম জেমস,জন ডিউই প্রমুখ দার্শনিক এ মতবাদের সমর্থক। তাদের মতে,কার্যকারিতা বা সাফল্যেই সত্য নিরূপণেল মাপকাঠি। কোন অবধারণ ,কোন যুক্তি,কোন মতবাদ,কোন ধারণা সত্য কি  মিথ্যা তা নির্ভর করে এর কার্যকারিতার উপর।

উইলিয়াম জেমসের মতে,‘‘সত্য ধারণা হল এমন ধারণা যা আমরা গ্রহণ করতে পারি,পরীক্ষা করতে পারি,নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারি,প্রমাণ করতে পারি,মিথ্যা ধারণাসমূহ এসব শর্তের অধীন নয়।’’

সমালোচনাঃ প্রয়োগবাদের সমালোচনা নিম্নরূপঃ

প্রথমত,অবধারণৈর কার্যকারিতা বা সাফল্য এর সত্যতার নির্দশক বলে প্রয়োগবাদীরা যে মতবাদ প্রচার করেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা কোন কোন ভ্রান্ত অবধারণও বাস্তব জীবনে সাফল্যের সূচনা করতে পারে।

দ্বিতীয়ত,পয়োগবাদীরা সত্যের যথার্থ স্বরূপ উদঘাটন করতে পারে না। কারণ এ মতবাদ সত্যের স্বরূপ ও সত্যের পরীক্ষাকে অভিন্ন বলে মনে করে।

উপসংহারঃ উপরিউক্ত আলোচনায় পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, এককভাবে সত্যতা নিরূপণের মাপকাঠি হিসেবে কোন মতবাদই সন্তোষজনক মতবাদ নয়। প্রত্যেকটি মতবাদের মধ্যে কিছু ভূলএুটি রয়েছে। কিন্তু তাই বলে এ মতবাদগুলোকে একেবারে বাজে মতবাদে বলে উড়িয়ে দেয়া যায় না। নিরপেক্ষ মন নিয়ে চিন্তা করলে মনে হয় অনুরূপতাবদই সত্যতা নিরূপণেল মাপকাঠি হিসেবে একটি সন্তোষজনক মতবাদ।সুতরাং সব মতবাদেরই দর্শনে গুরুত্ব রযেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button