যে জাতি জীবন হারা অচল অসার, পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার
যে জাতি জীবন হারা অচল অসার, পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার
যে জাতি জীবন হারা অচল অসার,
পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার।
মূলভাব: কুসংস্কার ও লোকাচার যে কোনো জাতির জন্য পশ্চাৎপদতার প্রমান ।লোকাচারে আবদ্ধ জাতি প্রগতির পথে এগিযে যেতে পারেনা ।
সম্প্রচাররিত ভাব : জাতির প্রাণ শিক্ষা ।আধুনিক শিক্ষার আলোকস্প্রশে আসার পরই কেবল যেকোনো জাতির প্রগতিশীল সমাজের প্রত্যাশা করা যায় । জ্ঞান –বিজ্ঞান চর্চার মধ্য দিয়ে জাতিয় জীবনের প্রতিটি স্তর হতে অজ্ঞতা কুসৎষ্কার ও পুরাতন চিন্তাধারার ্অপসারণ ঘটানো হলো কল্যাণকামীর জাতি গঠণ সম্ভব । নদীকে সোশীলা রাখতে হলে তার গতিপতের বাধাগুলোকে ্অপসারণ করতে হয় । তেমনি জাতীয় জীবণকে প্রগতিমুখী করার জন্য তাঁর ভেতর মুক্তচিন্তার ধারকে অন্তঃশীলা করতে হবে ।একথা সত্য, চিন্তার মুক্তি ছাড়া মানসিক দীনতার বেড়াজাল ছিন্ন করা যায় না । আর মানসিক মুক্তি ছাড়া জ্ঞান –বিজ্ঞান ্ও প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্ব সমাজে মাতা তুলে দাঁড়ানো সম্ভব নয় । প্রগতির দৌড়ে পেছনে পড়ে গেলে জাতির তখন আঁকড়ে ধরতে হয় জীর্ণ লোকাচার ্ও অন্ধ কুসংস্কার । জ্ঞনানুশীলন ও মুক্তবুদিধ চর্চার অভাবে জাতি তখন প্রাণশক্তি হারাতে থাকে । হারিয়ে যেতে থাকে তাঁর সম্ভাবনার অপার সম্ভার । জীর্ণ অতীতের প্রতি জাতির মোহান্ধতার কারণে ভবিষ্যৎ হয়ে্ ওঠে ফিকে ।জাতিকে প্রতিদ্বন্দিতমিুখর বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে য়োগ্য করার জন্য আধুনিক শিক্ষা ও জীবনদৃষ্টির লালন অত্যাবশ্যক হিসেবে আমাদের মানতে হবে ।সেই সাথে সকল প্রকার লোকাচার ও অজ্ঞতার বন্দন থেকে মুক্তি পেতে হবে সবাইকে । প্রথা ও প্রাণহীন লোকাচার বদলে মুক্তবুদিধর চেতনায় সবাইকে উদ্ধুদ্ধ হতে হবে। আর এক্ষএ ব্যর্থ হলে আমাদের জাতি মধ্যযুগের অচলায়তনেই পথ হাতড়ে মরবে ।
যে জাতি জীবন হারা অচল অসার, পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার
মূলভাব: সৃষ্টিমশীল যা কিছু দৃশ্যমান ,তার সবকিছুই প্রবহমান । চলমানতাই জীবনের সজীবের সজীবতার লক্ষণ, নিশ্চলতা মৃত্যু। স্থবিরতা ব্যক্তি ও সমাজজীবকে য়েমন স্তিমিত করে দেয়, জাতীয় জীবনকেও করে বিপযস্ত । ঐশ্বযমন্ডিত ও সমৃদ্ধ জাতীয়- জীবনে তাই গতিশীলতার কোনো বিকল্প নেই ।
নদীর গৌরব সো্তধারার মধো, সো্তই নদীকে গতিশীলতা দান করে, তার বুকে ভরে দেয় পূর্ণতার সার্থকতা। সব জঙ্গাল , মালিন্য আর ক্লেদাক্ত আবর্জনা নদীর দুরস্ত গতিধারায় ভেসে চলে যায়। নদীর বহমান ধারায প্রতি মূহুর্তে জলরাশি নিত্য – নতুন, কোনো পঙ্কিল বাধা তার জলকে মলন করে তুলতে পারে না । সব মালিন্য ধৌত করে নদী আপন বেগে চির –চ উৎস থেকে মোহনার পূর্ণতার অভিমুখে নিত্য ধবমান । এই নদীই তার গৌরব হারায় যখন কোনো কারণে তার বেগ মন্দিভূত হয়ে পড়ে , তার সোতধারা রুদ্ধ হয়ে যায়। তখন তার বুক শৈ বা আবর্জনায় ভরে ওঠে । তদ্রুপ,ব্যাক্তিগত তথা সামাজিক জীবনে কোনো ব্যক্তি যদি স্থবির হয় তবে তার জীবনে উন্নতির আশা অবাস্তব কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। নদীর মতোই জতির জীবনের পূর্ণতাও নির্ভর করে তার চলমানতাতার ওপর ।যদি কোনো জাতি উদ্যম ও সজীবতা হারিয়ে ফেলে, স্বাধীন চিন্তা তাদের মনে উদ্দীপনা সৃষ্টি না করে, তবে সে জাতি পরিবর্তনশীল জগতের সঙ্গে সমান তালে পা ফেলে চলতে সমর্থ হয় না । যে জাতির স্বাভাবিক চলনধর্ম আছে, সে জাতিই নবীন সভ্যতাকে সহজে আত্নাসাৎ করতে পেরেছে । সংকীর্ণ আচার –বিচার -সংস্কার সে জাতির গতিপ্রবাহকে রুদধ করতে পারে না, সচলতার বেগেই সব বাধাকে অনায়াসে সে অতিক্রম করে যয়। স্বচ্ছন্দ ও নির্বাধ গতিতে এগোতে না পারলে জাতির আত্নবিকাশ ব্যহত । পদে পদে শাস্তের অনশীন ও দেশাচারের বাধা –নিষেধ স্বঃস্ফূর্ত বহমান জীবনধারাকে স্তব্ধ করে । চলমানতা হারিয়ে ফেলার অর্থই হলো জাতির ভবিষৎ উন্নয়নের সফল সম্ববনার অপমৃত্যু । জীবনে উন্নতির চাবিকাঠি হলো সংস্কারমুক্ত হয়ে গতিময়- জীবনের দিকে অগ্রসর হওয়া।যে –জাতি যতদিন উন্নয়নকামী ও কর্মঠ থাকে,ততদিন কোনোরূপ কুসংস্কার তার গতি রোধ করতে পারে না । কিন্তু সে –জাতি তার পুরনো ঐতিহাকে বুকে ধরা থাকা লয়প্রাপ্ত হয়। একইভাবে ব্যক্তিজীবনে ও গতিশীলতার প্রয়োজন রয়েছে , সংঘাতের মধ্যে দিয়ে জীবনের শ্রেষ্ঠ ফসলটি তুলে নেওয়া যায়। কর্মবীর মানুষই সৌভগ্যের স্বর্ণশীষে হয় আসীন । বিপরীতপক্ষে যারা অলস, কর্মবিমুখ , জীবনের চলার পথ যাদের রুদ্ধ ,স্থির, তাদের পদে পদে বরণ করে নিতে হয় পরাজয়, জীবনভর তাকে হতাশায়, নিরাশায় দীর্ঘশ্বাসের সেতু রচনা করতে হয় ।
যে জাতির জীবনধারা অচল, অসার সে জাতির অপমৃত্যু অবশ্যম্ভবী । গতিশীল জীবনপ্রবাহই জাতীয় ও ব্যক্তিগত জীবনকে করে জীবস্ত যে জাতি জীবন হারা অচল অসার,
যে জাতি জীবন হারা অচল অসার,
পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার।
মূলভাব: স্তবিরতা জাতীয় জীবনকে বিপর্য়স্ত করে । জাতীয় জীবনকে ঐশ্ব মন্ডিততত ও সমৃদধ করার জন্য চাই গতিশীল চেতনা ও আদর্শ ।
চলমানতাই জিবন ,নিশ্চলতাই মৃত্য । সেই চলমানতার সো্তে জীবন সহজ ও স্বচ্ছন্দ গতিতে রূপ-রূপান্তরের মধো দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চলে । কিন্তু কখনও কোনো কারণে যদি তার সেই গতির ছন্দ পতন ঘটে ,জীবন যদি তার স্বাভাবিক চলার পথে বাধাপ্রাপ্ত হয়,তাহলে সে তার সুন্দর স্বাভাবিক বিকাশ হারিয়ে বিকৃত পথে ধারণ করে । তখন তার মধো নানা বিকার এবং কদযতার প্রাদুর্ভাব ঘটে । নানা পাপা ও পঙ্কিলতার আর্বতে জীবনে অভিশপ্ত হয়ে পড়ে । এটা যেমন ব্যক্তির জীবনে সত্য ,তেমনি সত্য জাতির জীবনের সকল জাতিরই থাকে একটি স্বাভাবিক গতির ছন্দ। সেই ছন্দের মধোই ঘটে জাতির বিকাশ ।কিন্তু কোনোদিন যদি সেই জাতি তার গতিশীলতা হারিয়ে ফেলে তবে জাতীয় জীবনের দিকে দিকে দেখা দেয় অবাঞ্ঝিত জড়তা ।এই জড়তা জাতীয় জীবনের প্রধান শএু । সঙ্গে সঙ্গে নানা দেশাচার ও লোকাচারের আর্বজনার স্তূপ তার জীবনধারা পঙ্গু ও নিশ্চল করে দেয়। তখনই জাতির হাতে পায়ে পড়ে নানা বিধিনিষেধের বেড়ি, নিষ্ঠুরভাবে বাজতে থাকে পরাধীনতার শিকল ।
যে জাতির জীবনধারা অচল , অসাড়, সে জাতির অপমৃত্যু অবশ্যাম্ভাবী। গতিশীল জীবনপ্রবাহই জাতীয় জীবনকে করে জীবস্ত ও উজ্জ্বল ।