যত বড় হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা আমি ভালবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা ।ভাবসম্প্রসারণ
যত বড় হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা আমি ভালবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা ।
বাস্তব আর কল্পনার মধ্যে দুস্তর ব্যবধান ।মানুষ মাটির পৃথিবীর সন্তান ।প্রকৃতির লতা –পাতা ,গাছ ,ফুল ,পাখি এসব নিয়েই তার পরিবেশ ।এই মাটির পৃথিবীকে নিয়েই তার অভ্যস্ত জীবনযাএা অব্যাহত গতিতে এগিয়ে চলেছে ।তথাপি মানুষ স্বপ্নবিলাস ।দূরের আকাশের সাতরঙা ইন্দ্রধনুর বিচিএ বর্ণচ্ছটা মানুষের স্বপনচারী মনকে হাতছানি দেয় ।কিন্তু যা ক্ষণস্থায়ী,যা ধরা-ছোয়ার বাইরে তা যত বড় বা যত সুন্দরই হোক না কেন তার চেয়ে আকর্ষণিয় চির পরিচিত নিত্যদিনের ধূলিমাখা এই পৃথিবী ।কেননা বর্ণসুষমায় ইন্ধুদনু যতই মনোমুগ্ধকর ও নয়নরঞ্জক হোক না বাস্তবের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই ,জীবননে বাস্তক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ গুরুত্বহীন ।বাস্তবের কঠিন মাটিতে পা ফেলে মানুষকে জীবন চালাতে হয ।বাস্তবকে উপেক্ষা করা মোটেই সম্ভবপর নয় ।সেজন্যে দূরের রামধনুর চেয়ে নাগালের মধ্যে যে ছোট্র প্রজাপতিটি তার রঙিন পাখায় ভর করে উড়ে বেড়ায় তার মধ্যেই বিমূর্ত সৌন্দযকে উপলিই করা যায় ।সুদূরের সৌন্দযের বিশালতা ও মোহনীয়তা মানুষের হৃদয়কে বিস্ময় বিমূঢ়তায় করে আবিষ্ট ।কিন্তু তার কুটিরের সান্নিধ্যে প্রস্ফেুটিত নাম না-জানা কত তৃণ –কুসুম ,ধানের শীষে চোঁয়ার শিশিরের জল,কত সুধাকন্ঠ পাখির কলকাকলি তার সুদূরের মোহে উধাও হৃদয়ের দ্বারে করাঘাত করে ফিরে যায় ,তবু তার দ্বার খোলেনা ।এখানেই মানুষের ট্রাজেডি ।অথচ প্রকৃতি –জননী নিজের হাতে সেখানে সাজিয়ে রেখেছেন অনির্বচনীয় সৌন্দযের অন্তহীন পসরা ।কিন্তু প্রকৃতি সৌন্দয –প্রেমিক দ্বারা ,তাঁরা সুদূরের অলীক সৌন্দযের মিথ্যা মায়ার আকর্ষণে প্রলু্দ্ধ না হয়ে তাঁদের চারপাশের বিশ্ব –প্রকৃতির সৌন্দযের অপরূপ রূপ-নিকেতনের মধ্যে আবিষ্কার করেন স্বর্গের অমরাবতীকে ।তাঁরাই সৌন্দযের সফল সাধক ।
সীমার বাইরে কোনো বস্তুই উপভোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে না ।কল্পনার ভাবালুতা অর্মত্যচারী করে ,অনৈসর্গিক স্বপ্নলোকে বিচরণ করায় ,তাতে রেমান্টিক ভাবনার হয়ত কিছু খোরাক হতে পারে, কিন্তু বাস্তবজীবনে তার প্রয়োজন কতখানি তা ভেবে দেখা দরকার ।যেখানে ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়,সেখানে রামধনুর বর্ণসুষম্য নিয়ে ভঅবালুতা পরিহাসতুল্য ।তাই আকাশকুসুম পরিকল্পনা না করে সাধ ও সাধ্যের মধ্য সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলঅ উচিত ।দুষ্প্রাণ্য অলীক কোনো কিছু পাওয়ারা দুরাশা না করে হাতের কাছে যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকাই উওম ।