মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন,বিলাস ধন নহে ভাবসম্প্রসারণ -snigdhasokal
মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন,বিলাস ধন নহে ।
জগতের যাবতীয় নেপথ্যে রয়েছে অর্থ ।অর্থ ছাড়া কোনো কাজই সম্পন্ন হয় না ।মানবজীবনে সবসময় অর্থের প্রয়োজন একথা অনস্বীকায ।ব্যক্তিজীবন ,সমাজজীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে অর্থের দরকার ।মানুষ এজন্য নানা শ্রম ও ক্লেশ সহ্য করে অর্থ সঞ্চয় করে ,কেউ কেউ প্রচুর অর্থবিওের অধিকারী হয় ।কিন্তু এ অর্জিত ধনসম্পদ চিরস্থায়ী হয় না কখনো ।একদিন অর্থবিও ফুরিয়ে যায় ।আবার উপর্জিত অর্থ সুখ –স্বাচ্ছন্দ্যে বিলামব্যসনে ভাসিয়ে দিলে সমাজ বা জগতের যেমন কল্যাণ সাধিত হয় না ,তেমনি বিপুল অ্র্থর পাহাড় শুধু ধন-ভান্ডারে জমা রাখলেও সে অর্থ কারো কোনো কাজে আসে না ।সে ধনের কোনো সার্থকতা নেই ।ধন-সম্পদের প্রকৃত গুরুত্ব নির্ভর করে মানবকল্যাণে ও সামাজিক অগ্রগতিতে তা কাজে লাগানোর ওপর ।সুতরা্ং বিশেষ বিবেচনা করে উপর্জিত অর্থ ব্যয় করা উচিত ।সঞ্চয় ,মিতব্যয়,কৃপণতা কোনোটার মাঝেই অর্থ বা ধনসম্পদের সার্থকতা লুক্কায়িত নেই ,সদ্ব্যবহারের মাঝেই রয়েছে এর পরিপূর্ণ সার্থকতা ।অপব্যয়ী ও বিলাসীরা ভুলে যায় যে,তারা যে বিও –সম্পদের মালিক হয়েছে তাতে রয়েছে গরিবের হক ।তাই বিলাসিতায় গা-ভাসানোর আগে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কথা স্নরণ রাখতে হবে ।যে ধনসম্পদ সমাজের সাধারণ মানুষের কোনো উপকারে আসে না ,শুধু বিলাসিতায় ব্যয়িত হয় কিংবা কৃপণতার বশে ধনভান্ডারে জমা রাখা হয় –সে ধনসম্পদ নিতান্তই মূল্যহীন ।মানবকল্যাণ ও সামাজিক –মঙ্গল সাধনের উদ্দেশ্যেই ধনসম্পদ বা অর্থের জন্ন ।কাজেই মানুষ ও সমাজের কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যে অর্জিত অর্থই সম্পদ ।বিলাসিতা কিংবা অপব্যয়ের উদ্দেশ্য সঞ্চিত অর্থ প্রকৃতপক্ষে ধন হিসেবে বিবেচ্য নয় ।মানবকল্যাণে ও সামাজিক অগ্রগতিতে ব্যয় করতে পারলেই ধন-সম্পদের প্রকৃত মূল্যায়ন হয় ।হাজি সুহস্মদ মহসীন নিজের বিপুল ধনরাশি এদেশের মানষের শিক্ষা ও দরি্দ্রদের সহায়তার ব্যয় করে ছেন ।নিজে জীবন-যাপন করেছেন অত্যন্ত সাধারণভাবে –দীনদরিদ্র বেশে ।তাঁর ধন তিনি মানুষের মঙ্গলার্থে ব্যয় করেছেন ,নিজের বিলামব্যসনের জন্যে নয় ।তাই তিনি এখনো স্মরণীয় হয়ে আছেন ।
যে অর্থ মানুষের কল্যাণে ব্যয়িত হয় না ,সে অর্থের কোনো সার্থকতা নেই ।মানবকল্যাণে ব্যয়িত সম্পদই প্রকৃত ধন ।তাই ধনসম্পদ নিজস্ব মযাদা তখনই পাবে,যখন তা মহৎ কাজে ব্যয়িত হবে ।সে –ধনই প্রকৃত ধন যে ধনের মধ্যে মানুষের মঙ্গল করবার ইচ্ছা সম্পৃক্ত থাকে ।
মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন,বিলাস ধন নহে ।
মূলভাব : ধনসম্পওি বিলাসিতার জন্য নয়,নিজের ও অপরের মঙ্গলেই এর প্রকৃত সার্থকতা ।
সম্প্রসারিত ভাব :প্রচুর অর্থ ভান্ডারে আবদ্ধ হয়ে পড়ে থাকলে এর উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়ে যায় ।আবার প্রচুর অর্থ অন্যায় কাজে ব্যয় করলে এর উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়ে যায় ।তখন একে আর ধন বলা যায় না ।ধন যদি সৎ উদ্দেশ্য মানুষের মঙ্গলের জন্য ব্যয় করা যায় তবেই এর উদ্দেশ্য সার্থক হয় ।কিন্তু দেখা যায় অধিকাংশ ধনী ব্যক্তিই মানুষের মঙ্গলের জন্য অর্থ ব্যয় করে না ।তারা বিলাসিতার গা ভাসিয়ে অর্থ ব্যয় করে থাকে ।সে অর্থকে কিছুতেই ধন বলা যায় না ।বিলাসিতার ব্যয়িত ধন কামনা চরিতার্থ করে বটে,কিন্তু তা দিয়ে মানুষের কোনো প্রকার মঙ্গল সাধিত হয় না ।বস্তুত ধন মানুব কল্যান যখন ব্যয় করা হয় তখনই এর প্রকৃত সদ্ব্যবহার করা হয় ।কাজেই যে অর্থ মানুষের কল্যাণ সাধন করে তা-ই যথার্থ ধন ।বিপথে ব্যয়িত অর্থ জীবনকে আরো অস্তিতিশীল এবং দুর্বিষহ করে তোলে ।আর তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ এবং করুণ হয়ে থাকে ।তাই ধনসম্পওি মঙ্গল লাভের উদ্দেশ্যেই ব্যয় করা উচিত বিলাসিতার জন্য নয় ।
মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন,বিলাস ধন নহে ।
জগতের যাবতীয় মঙ্গলজনক কাজের নেজথ্যে রয়েছে অর্থ ।অর্থ ছাড়া কোনো কাজেই সম্পন্ন করা যায় না ।আবার উপর্জিত অর্থ বিলাসের বন্যায় ভাসিয়ে দিযে তা সমাজ বা জগতের যেমন কোনো কল্যাণ সাধিত হয় না ,ঠিক তেমনি বিপলি অর্থর পাহাড় শুধু ধনভান্ডারে জমা রাখলেও সে অর্থ মূল্যহীণ হয়ে পড়ে ।কাজেই বিশেষ বিবেচনা করে উপার্জিত অর্থ ব্যয় করা উচিত ।সঞ্চয় বা মিতবায় কোনো্টার মাঝেই অর্থ বা ধন –সম্পদের সার্থকতা নেই ।সদ্ব্যবহারের মাঝেই রয়েছে এর পূর্ণ সার্থকতা ।কৃপণতা বা বিলাসিতা দিয়ে অর্থের সদ্ব্যবহার হয় না । যে ধন –সম্পদ দিয়ে সমাজের সাধারণ মানুষের কোনো উপকার হয় না ,বা যে ধন সম্পদ নিত্যন্তই মূল্যহীন ।মানব কল্যাণ ও সামাজিক মঙ্গলসাধনের উদ্দেশ্যেই ধন-সম্পদ বা অর্থের জন্ন ।কাজেই মানুষ ও সমাজের কল্যাণসাধনের উদ্দেশ্যে অর্জিত বা অর্থই সম্পদ ।বিলাসিতা বা অপব্যয়ের উদ্দেশ্য সঞ্চিত অর্থ প্রকৃতপক্ষে ধন হিসেবে বিবেচ্য নয় ।ধন বিলাসের কাজে ব্যয়িত হলে তা ব্যবহারকারীর করূণ পরিণত ডেকে আনে ।
যে ধন মানুষের কল্যাণ