মানুষের সকল মনবীয় গুণের সমন্বিত বহিঃপ্রকাশই মহত্ব। এমন মানবীয় গুনবলি দিয়েই মানুষ অন্যান্য প্রাণী থেকে নিজেকে আলাদা করেছে, হয়েছে সৃষ্টির সেরা জীব। মহৎ মানুষেরা আত্মকেন্দ্রিক না হয়ে, দেশ ও দশের কল্যাণে আত্মোৎসর্গ করেন। তাাঁরা সকল প্রকার হীনতা, দীনতা, সংকীর্ণতা, স্বর্থপরতা ও অহংকার থেকে মুক্ত থাকে। তাঁরা সব সময় দেশ , জাতি ও সমাজকে নিয়ে চিন্তা করেন, নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যান। তাঁরা আলোকিত হৃদয়ের অধিকারী, যে আলোয় জাত পথ খুপে পায় । হাজী মুহাম্মদ মহসীন, দেশবন্ধু ত্তিরঞ্চন দাশ বেগম রোকেয়া প্রমুখ মনীষীগণ মহত্ত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। মহৎ মানুষরা সব সময় চিন্তা করেন কিভাবে মানুষকে প্রকৃত মানুষ করা যায়। তার বিনয়ের ধারক ও বাহক্ কখনোই তার নিজের ধন দৌলত, বিদ্যা-বুদ্ধি নিয়ে অহংকার করেন না। এটি মানুষক সদুপদেশ গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখে। অহংকারী ব্যক্তি নিজের টাকা, যশ, খ্যাতি, জ্ঞান নিয়ে এতটাই গর্বিত হোন যে মানুষ হয়েও তার মাটিতে আর পা পড়ের না। সে যত বড় পন্ডিত, জ্ঞানী -গুনী, ধনী-দাতা, বীর হোক না কেন, তাকে সমাজের কেউ ভালোবাসে না। বরং মানুষ একজন অহংকারীকে অনেক বেশি ঘৃণা করে। অহংকার মানুষকে ধ্বংসাত্মক কাজেও লিপ্ত হতে প্ররোচিত করে। সেই সাথে কালে পরিক্রমায় অহংকার দরিদ্রতাও ডেকে আনে । ফলে অহংকারে আবরণে ব্যক্তির সব মহত্ত্ব ঢাকা পড়ে যায়। কবি ইশ্বরচন্দ্র গুপ্ত বলেন- ‘তুমি পর্বততুল্য উচ্চ হইলে গর্ব দোষে খর্ব হইবে, ইহা বিচিত্র নহে।’ মন্তব্য: অহংকার পরিত্যাগের মাধ্যমেই মানুষের মহত্ত্ব বিকশিত হয়। অহংকার ও দাম্ভিকতা জগতশ্রেষ্ঠ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বাঁধা। মানব চরিত্রের এই নেতিবাচক গুণটি সর্বদািই পরিত্যাজ্য। |
খুব সুন্দর হয়েছে । আমার এই ওয়েব সাইটে ভিজিট করে আসুন https://bdhomestudy.com/dialogue-preparation-for-jsc-exam/
good
নাইস
nice
নাইস
banglaallnews
banglaallnews