(ভাগ কাকে বলে? ) কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণকে নির্দিষ্ট সংখ্যক সমান ভাগে বিভক্ত করলে প্রত্যেক ভাগের পরিমাণ ও অবশিষ্ট পরিমাণ নির্ণয় করতে বা এ ধরণের অন্যান্য ব্যবহারিক সমস্যা সামাধানে ভাগ প্রক্রিয় প্রয়োজন হয়। এটি িএকটি ধারাবাহিক পক্রিয়া। এর সাথে সম্পর্কিত রাশি হলো ভাজ্য, ভাজক, ভাগফ ও ভাগশেষ। যে সংখ্যাকে ভাগ করা হয় তা ভাজ্য, যে সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হয় তা ভাজক এবং যত সংখ্যক বার ভাগ করা যায় তা ভাগফল এবং প্রক্রিয়াটির শেষে যা বাকি থাকে তা হলো ভাগশেষ। তবে ১০, ১০০ ইত্যাদি দ্বারা ভাগের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে ভাগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করেই ভাগফল ও ভাগশেষ নির্ণয় করা যায়।
আরো পড়ুনঃ ভাজ্য কাকে বলে?
ভাগ করার নিয়মঃ
৬৮৬০ কে ২৪৫ দ্বারা ভাগ কর
সামধানঃ
আরো পড়ুনঃ ভাজক কাকে বলে?
উত্তরঃ ভাগফল ২৮।
এবার লক্ষ্য কর:
৬৮৬০ সংখ্যাটির বাম প্রথম ৩টি অঙ্ক বিবেচনা করি, কারণ ভাজক ২৪৫ একটি ৩ অঙ্কবিশিষ্ট সংখ্যা।
২৪৫ * ২ = ৪৯০, ২৪৫ * ৩ = ৭৩৫
বি. দ্র: * চিহ্নটি দ্বারা গুণ বুঝানো হয়েছে।
তাই ভাগফলের দশকের স্থানে ২ হবে এবং ৬৮৬ এর নিচে স্থানীয় মান অনুযায়ী ৪৯০ বসিয়ে বিয়োগ করি। উপরের স্থানীয় চিত্র অনুযায়ী বিয়োগফলের ডান পাশে ০ নিয়ে আসি এবং একই পদ্ধতিতে ভাগটি সমাপ্ত করি।
এবার আরিকটি উদাহরণ লক্ষ কর: ৩৮৫০০ কে ৬৮৭ দিয়ে ভাগ কর।
উত্তরঃ ভাগফল ৫৬, ভাগশেষ ২৮।
৩৮৫০০ সংখ্যার বাম থেকে প্রথম ৩টি অঙ্ক ৬৮৭ দ্বারা ভাগ করা সম্ভব নয়, সুতরাং প্রথম ৪টি অঙ্ক ৩৮৫০ বিবেচনা করি।
৬৮৭ * ৫ = ৩৪৩৫। ৬৮৭ * ৬ = ৪১২২
এভাবে, ভাগফলের দশকের স্থানে ৫ হবে। উপরের চিত্র অনুযায়ী ভাগটি সমাপ্ত করি।
ভাগ সম্পর্কিত কতিপয় বিষয় মনে রাখা উচিতঃ
নিঃশেষ বিভাজ্যের ক্ষেত্রে –
১। ভাজ্য = ভাজক * ভাগফল
২। ভাজক = ভাজ্য / ভাগফল।
৩। ভাগফল = ভাজ্য / ভাজক
নিঃশেষ বিভাজ্য না হলে-
১। ভাজ্য = ভাজক * ভাগফল + ভাগশেষ
২। ভাজক = (ভাজ্য – ভাগশেষ) / ভাগফল
৩। ভাগফল = ( ভাজ্য – ভাগশেষ ) / ভাজক