বড়গুপ টিলায় বিদ্যালয়ের ঘর, আসবাবপত্র, খেলার মাঠ সবই আছে, নেই শুধু ছাত্র আর শিক্ষক

বড়গুপ টিলায় বিদ্যালয়ের ঘর, আসবাবপত্র, খেলার মাঠ সবই আছে, নেই শুধু ছাত্র আর শিক্ষক

বড়গুপ টিলায় বিদ্যালয়ের ঘর, আসবাবপত্র, খেলার মাঠ সবই আছে, নেই শুধু ছাত্র আর শিক্ষক


তাহিরপুরসীমান্তের বড়গুপ টিলায় বিদ্যালয়েরঘর, আসবাবপত্র, খেলার মাঠ সবইআছে, নেই শুধু ছাত্রআর শিক্ষক উপজেলারউত্তর বড়দল ইউনিয়নের বড়গুপটিলায় সরকারী খাস জমিতেআদিবাসীদের নির্মিত বড়গুপ টিলা কমিউনিটিপ্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্টিতহয় প্রতিষ্টারপর থেকেই জিবিসি(গারোব্যাপ্টিষ্ট কনভেন্সন) থেকে ২০০৫ সালপর্যন্ত শিক্ষকদের বেতন ভাতা দেয়াহতো পরবর্তীতে২০০৫ সাল থেকে ২০২০সাল পর্যন্ত উন্নয়ন সংস্থা স্যানক্রেড তাদের সহায়তায় বিদ্যালয়ের জন শিক্ষককে বেতনভাতা প্রদান করা হতো বিদ্যালয়টিরঅবস্থান সরকারী খাস ভূমিতেহলেও বিদ্যালয়ের নামে অদূরে নিজস্বভূমি রয়েছে দুইবছর ধরে পরিত্যক্ত হয়েপড়ে বিদ্যালয়টি

 করোনাকালীন সময়ে ২০২০ সালেরমার্চ মাস থেকে বিদ্যালয়বন্ধ হওয়ার পর থেকেই২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়পর্যন্ত বিদ্যালয়টি বন্ধ রয়েছে বিদ্যালয়ে বড়গুপ,মাঝের টিলা,আনন্দপুর,মাহারামটিলা(বারিক্যা টিলা) আশ্রয়কেন্দ্র এলাকার শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো বিদ্যালয়টিবন্ধ থাকার কারণে গ্রামের শিক্ষার্থীরা কিলোমিটার দূরেউঁচু এলাকা কড়ইগড়া সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয় নীচু এলাকামাহারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েলেখাপড়া করতে যায়

 আদিবাসীনেতা মাঝের টিলা গ্রামেরপ্রত্যয় ডালবৎ বলেন, বড়গুপটিলা কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে ২০২০ সাল পর্যন্তবিদ্যালয়ে ২৫০ জন শিক্ষার্থীছিল করোনাকালীনশুরুতে বিদ্যালয়টি বন্ধ হওয়ার পরথেকে এখন পর্যন্ত ছাত্রশিক্ষক কিছুই নেইবিদ্যালয়টি জরুরী ভিত্তিতে চালু জাতীয়করণের জন্য তিনি সরকারেরহস্থক্ষেপ কামনা করেন

 বড়গুপটিলা কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি বড়গুপটিলা গ্রামেরপ্রভাত আরেং বলেন, বিদ্যালয়টি১৯৬২ সাল থেকে ২০০৫সাল পর্যন্ত জিবিসি(গারো ব্যাপ্টিষ্টকনভেন্সন) দ্বারা পরিচালিত হতো তারাইশিক্ষকদের বেতন ভাতা দিতো পরবর্তীতেশিক্ষকদের বেতন উন্নয়ন সংস্থাস্যানক্রেড সহায়তা করতোএখন আর কেউ সহায়তাকরে না আমাদেরপক্ষেও বেতন দেয়া সম্ভবহচ্ছে না এটিচালু করতে আমরা সরকারেরসহযোগীতা চাই

 বড়গুপটিলা কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তফাজ্জলহোসেন বলেন, স্যানক্রেড কর্তৃপক্ষআমাদের চার জন শিক্ষককেপ্রতি মাসে তিন হাজারটাকা করে বেতন দিতো করোনালাগার পর থাইক্যা আমরাবেতনও পাই না বিদ্যালয়েওযাইনা কারণেই বিদ্যালয়টি বন্ধ রয়েছে

 আদিবাসীনেতা শঙ্কর মারাক বলেন, বড়গুপ টিলা কমিউনিটি প্রাথমিকবিদ্যালয়টি ১৯৬২ সাল থেকে২০০৫ সাল পর্যন্ত গারোদেরসার্স স্কুল ছিলপরবর্তীতে বিদ্যায়লটি এমপিওভূক্ত করার জন্য অনেকচেষ্টা তদবীর করেও কোনফলাফল হয়নি

 স্যানক্রেডতাহিরপুর উপজেলা প্রকল্প সমন্বয়কারীকল্যাণ রেমা বলেন,‘সমন্বিতসমাজ উন্নয়ননামক একটি প্রকল্প থেকেআমরা বড়গুপ টিলা কমিউনিটিপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনের ব্যবস্থা করতাম প্রকল্পটি২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বরতারিখে ফেইজ আউট হয়েযায় কারণে তাদের বেতন দেয়াআর সম্ভব হয় নাই

 

 

তাহিরপুরউপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা উত্তর বড়দলইউনিয়ন ক্লাস্টার অফিসার আবু সাঈদবলেন,বড়গুপ টিলা কমিউনিটিপ্রাথমিক বিদ্যালয়টি সম্পর্কে তিনি ভালভাবেই জানেন বিদ্যালয়েরশিক্ষকদের বেতন উন্নয়ন সংস্থাস্যানক্রেড প্রদান করতো বলেওতিনি জানান বিদ্যালয়েরশিক্ষার্থীদের জন্য বই তাহিরপুরউপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকেসরবরাহ করা হতো

এটি চালু করার বিষয়েতিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আলোচনা করবেনবলে তিনি জানান

 উত্তরবড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানআবুল কাশেম বলেন, বড়গুপটিলা কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অনেক পুরনোবিদ্যালয়টির পারিপার্শ্বিক অবস্থা খুবই নান্দনিক শিক্ষকরাবেতন না পেয়ে সবাইচলে গেছে করোনারআগে স্যানক্রেড শিক্ষকদের বেতন দিতোএখন এটি চালু করতেহলে সরকারের সহযোগীতা প্রয়োজন

 তাহিরপুরউপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হানকবীর বলেন, তিনি তাহিরপুরেযোগদানের পর বড়গুপ টিলায়একটি লম্বা ঘর দেখেছেনএটি যে বিদ্যালয় তাতিনি জানতেন নাতিনি আরো জানান,যেহেতুবিদ্যালয়টি উন্নয়ন সংস্থা স্যানক্রেডদ্বারা অতীতে পরিচালিত হয়েছে পূণরায়বিদ্যালয়টি চালু করার বিষয়েউপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস উন্নয়ন সংস্থা স্যানক্রেডের সাথেআলোচনা করে শীঘ্রই এটিচালু করার ব্যাবস্থা নিবেন

তাহিরপুর প্রতিনিধি

মুতাসিম বিল্লাহ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button