বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি , চির কল্যাণকর , অর্ধেক তার করিয়াছে নারী , অর্ধেক তার নর ।ভাবসম্প্রসারণ
বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি , চির কল্যাণকর , অর্ধেক তার করিয়াছে নারী , অর্ধেক তার নর ।
এ –পৃথিবীতে নর ও নারী একে অপরের পরিপূক । মহান স্রষ্টা বিশ্বের আদি মানব-মানবীর আবাস্থল হিসেবে পৃথিবি সৃষ্টি করেছিলেন । পরবর্তী কালে আদি মানব –মানবীর অবদানেই এ জগতে মানুষের আবাদ হয়েছে । তাই ,নর ও নারী অভিন্ন সওা । সৃষ্টির উষালগ্ন থেকেই নারী – কন্যা-জায়া –জননীরূপে সর্বদা নরের পাশে থেকে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস জুগিয়েছে । দুঃখ-যন্তণায়,বিপদে – আপদে পরম আত্নজনের মতো পাশে সান্ত্ব ও আশার বাণী শুনিয়েছে । নারী তার স্বভাবসুলভ স্নেহ-মায়া,সেবা ও যত্ন দিয়ে পুরুষের হৃদয়কে সর্বদা পরম প্রশান্তিতে ভরে দিয়েছে । নারী যদি নরের পাশে না থাকত তাহলে নর কোনোদিনই ঘর বাধাঁর স্বপ্ন দেখত না,সমাজ গড়ে উঠত না এবং সভ্যতাও বিকাশ লাভ করত না । তাই বলা যায় ,নর যদি অস্থিতত হয়,নারী তার মজ্জা । নর যদি দেহ,নারী তার প্রাণ ।উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পযায়ক্রমে তিলে তিলে গড়ে উঠেছে সভ্যতা । প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ হোক,বিশ্বের যেখানে যত মহৎকর্ম তা সম্পাদনের পেছনে নারীর পুরুষের ন্যায় নারীর ও অবদান রয়েছে । মানুষ এখন একথা দ্ব্যর্থহীনভাবে বিশ্বাস করে যে, মানব –সভ্যতা গড়ার পেছনে নারীর অবদান পুরুষের চেয়ে কোনো অংশে কম নয় ।ফলে নারীর মযাদাও পুরুষেরই সমপযায়ে উন্নীত হয়েছে । কাউকে বাদ দিয়ে কেউ এককভাবে কৃতিত্বের দাবিদার নয় ।একের দানে অন্যে পরিপুষ্ট । আর উভয়ের দানে পরিপুষ্ট আমাদের সভ্যতা ,জ্ঞান, বিজ্ঞান,দর্শন-গোটা পৃথিবী ।পৃথিবীর সামগ্রিক অগ্রগতি ও কল্যাণের মধ্যে উভয়ের অবদানেই সমান ।
প্রকৃতপক্ষে পুরুষের শৌয ,বীয আ নারীহৃদয়েতর সৌন্দয,প্রেম, ভালোবাসা-এ দুয়ের মহিমা একএ হয়েই বিশ্বের সকল উন্নতি সাধিত হয়েছে ।
বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি , চির কল্যাণকর , অর্ধেক তার করিয়াছে নারী , অর্ধেক তার নর ।
মূলভাব : পৃথিবীর সকল মঙ্গলের পিছনে নারীর অবদান অর্ধেক ।
সম্প্রসারিত ভাব : এ পৃথিবীতে নর এবং নারী একে অপরের পরিপূরক সওা ।মহান স্রষ্টা বিশ্বের আাদি মানব হযরত আদম [আ] এবং মানবী বিবি হাওয়ার [আ] আবাস্থল হিসেবে পৃথিবী সৃষ্টি
করেছিলেনে ।পরবর্তীকালে আদম এবং হাওয়ার অবদানেই এ জগতে মানুষের আবাদ হয়েছে । নর ও নারী একে অপরের পরিপূরক । সৃষ্টির সে উষালগ্ন থেকেই নারী কন্যা,জায়া ও জননীরূপে সর্বদা নরের পাশে থেকে প্রেরণা , শক্তি ও সাহস যুগিয়েছে ।দুঃখ যন্তণায়,বিপদাপদে পরম আত্নজনের মতো পাশে বসে সান্ত্বনা ও আশার বাণী শুনিয়েছে । নারী তার স্বভাবসুলভ স্নেহ মায়া , সেবা ও যত্ন দিয়ে নরের হৃদয়কে পরম প্রশান্তিত্বে ভরে দিয়েছে । নারী যদি নরের পাশে না থাকত নর কোনোদিনই ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখত না,সমাজ গড়ে উঠত না ও সভ্যত বিকাশ লাভ করত না । নর যদি অস্থি,নারী তার মজ্জা,নর দেহ নারী প্রাণ । উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পযায়ক্রমে তিলে তিলে গড়ে উঠেছে আধুনিক সভ্যতা ।প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ হোক,বিশ্বের যেখানে যত মহৎ কর্ম তা সম্পাদনের পেছনে নরের অনুরূপ নারীর ও অবদান রয়েছে । একথা অস্বীকারের উপায় নেই ।
বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি , চির কল্যাণকর , অর্ধেক তার করিয়াছে নারী , অর্ধেক তার নর ।
সম্প্রসারিত ভাব : নারী এবং পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সৃষ্টি হয়েছে সমাজব্যবস্থা ।সুতরাং সমাজে নারী একে অপরের পরিপূরক সওা ।মহান স্রষ্টা বিশ্বের আদি মানব হযরত আদম [আ ] এবং মানবী বিবি হাওয়া [আ] এর আবাস্থল হিসেবে পৃথিবী সৃষ্টি করেন ।পরবর্তীকালে আদম এবং হাওয়ার অবদানেই এ জগতে মানুষের আবাদ হয়েছে ।বর্তমান বিশ্বে নারীরাও পুরুষের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে । নারীরা পুরূষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনে তাদের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালন করছেন ।
ইসলাম ধর্ম সমাজে নারীর মযাদা বৃদ্ধি করেছে এবং শিক্ষার অধিকারসহ সকল অধিকার দান করেছে এই বলে,‘‘প্রত্যেক্ষ নর-নারীর বিদ্যা অর্জন করা ফরজ ।’’অন্ধকার যুগে নারীদের কোনো মযাদা দেওয়া হতো না । সে যুগে নারীরা দাসী ছিল এবং ন্যায্য অধিকার হতে তাদের বঞ্চিত করে রাখত, যা সময়ের বিবর্তনের মাধ্যমে পরিবর্তন হয় । এখন সারাবিশ্বে পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও কঠিন কর্তব্য পালন করতে হয় সর্বক্ষেত্রে তারা দক্ষতার ছাপ রাখছে ।