ভাবসম্প্রসারণ

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ।

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ।


 ভাব –সম্প্রসারণ : সৌভাগ্য সকলেরেই কাম্য । কিন্তু এ সৌভাগ্য আয়াসলব্ধ ও পরিশ্রমসাপেক্ষ ।একে অর্জন করতে হয় নিরলস পরিশ্রম ও একনিষ্ঠ সাধনার দ্বারা ।

সংস্কৃতে একটি কথা আছে-’দৈবনং দেয়মিতি কাপরুষং বদন্তি ।’অর্থাৎ দৈবলব্ধ অর্থের কল্পকাহিনি দুর্বল কাপুরুষের স্বপ্নবিলাসমাএ ।পৃথিবীতে কোনো সৌভাগ্যই আপনা-আপনি কাউকে ধরা দেয় না ।সৌভাগ্য অর্জন করতে হয় আপন প্রচেষ্টায় অপরিসীম পরিশ্রমের মাধ্যমে ।জীবনে সফলতা অর্জনের জন্যে পরিশ্রম অপরিহায ।শ্রমবিমুখতা ও অলসতা জীবনে বয়ে আনে নিদারুণ অভিশাপ।নিরন্তর ও নিরলস শ্রম-সাধনার জীবনাকাশ থেকে দারিদ্র্যে ঘনঘটা হয় অপসারিত এবং জীবনের আঁধার গগন সফলতার নবী সূযালোকে হয়ে ওঠে উদ্ভসিত ।বিশ্বের উন্নত জাতিসমূহের উন্নয়নের ইতিহাস পযালোচনা করলে দেখা যায় তারা প্রত্যেকেই নিরন্তর প্রচেষ্টা ও শ্রম-সাধনার বিনিময়ে উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করতে সক্ষম হয়েছে । একমাএ শ্রমশক্তির মাধ্যমেই জীবনে অর্জিত হয় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য,স্থিতি ও পরিপূর্ণতা ।নিরলস শ্রম সাধনায় সাফল্য অর্জনের ফলেই জীবজগতে মানুষ আজ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে সক্ষম হয়েছে ।এ শ্রেষ্ঠত্বের মূলে রয়েছে মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অধ্যবসায় ।মহৎকর্মের অনুশীলনের মাধ্যমে মানুষ চিরদিনই সৌভাগ্যের নিয়ামক হয়েছে ।

যে জাতি পৃথিবীতে যত পরিশ্রমী সে জাতি তত উন্নত ।ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত পরিশ্রম এবং সাধানাই জাতির সৌভাগ্যের মূলসূএ ।

 পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ।

মূলভাব : যে কোনো উন্নতির মূলে রয়েছে পরিশ্রম ।পরিশ্রম করতে পারলে সফলত অনিবায।

সম্প্রসারিত ভাব : পরিশ্রম সকল প্রকার উন্নতির মূল ।পৃথিবীতে পরিশ্রম ছাড়া কিছুই হয় না ।তাই এখানে অলস হয়ে বসে থাকার উপায় নেই ।শুধু যে মানুষেই কাজ করে তা নয়,সব জীবকেই বেঁচে থাকার জন্য কাজ করতে হয় ।ছোট পিঁপড়ে পযন্ত বসে থাকে না অনবরত কাজ করে থাকে এবং পিঁপড়েকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে পরিশ্রমী প্রাণী । মানুষ শুধু বেঁচে থাকার জন্যই কাজ করে না মনের পুষ্টিসাধনের জন্যও তাকে কাজ করতে হয় ।আজ যে সভ্যতার জন্য মানুষ গর্ববোধ করে,সে তো তাদের অবিরাম পরিশ্রমেরই ফল ।মানুষ যে ঘরে বাস করে,সেটা তৈরি করতে পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়েছে ।সে যে পাথর ঘসে ঘসে আগুন জ্বালেয়েছে তাতেও পরিশ্রম দরকার হয়েছে ।মানুষের সভ্যতাকে আধুনিক উন্নত অবস্থায় পৌঁছে দিতেও বহু লোকের প্রাণপণ পরিশ্রমের দরকার হয়েছে ।মানুষের পরিশ্রম ছাড়া কোনো কিছু সম্পন্ন হবার কথা চিন্তা করা যায় না । মানুষকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে । পরিশ্রম করে সে উন্নতির চরম শিখরে উঠতে পারে এবং সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনযাপন করতে পারে ।জীবনকে উন্নত এবং সমৃদ্ধ করতে পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই ।তাই বলা হয়-Industry is the key to success’.

 পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ।

 ভাব-সম্প্রসারণ: পৃথিবীতে কোনো মানুষেই সৌভাগ্য নিয়ে জন্নগ্রহণ করে না ।সৌভাগ্য সকলেরই কাম্য ।কিন্তু এ সৌভাগ্য অনয়াসলদ্ধ নয় । একে অর্জন করতে হয় নিরলস শ্রম ও একনিষ্ট সাধনায় ।পরিশ্রমই সৌভাগ্যের জন্নদাতা ।ইংরেজিতে প্রবাদ রয়েছে, `The man is maker of his won fortune.’

সংস্কৃতে একটি কথা্ আছে- “দৈবনং দেয় মিতি কাপুরুষং বদন্তি ”অর্থাৎ,দৈবলদ্ধ অর্থের গল্পকাহিনি দুর্বল কাপুরুষের স্বপ্নবিলাস মাএ।পৃথিবীতে এমন একটি জিনিসও নেই যা শ্রমলদ্ধ নয় ।নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রমের ফলে অর্জিত হয়েছে সমাজ ও সভ্যতার নিরন্তর অগ্রগতি ।ব্যক্কিগত ও জাতীয় উন্নতির মূলে রয়েছে পরিশ্রম ।তাই ,জন্ন থেকে মৃত্যু পযন্ত শ্রমের কোনো বিকল্প নেই । জীবনে সফলতা অর্জনের জন্যে শ্রম অপরিহায । শ্রমকে উন্নতির চাবিকাঠি বলা হয় ।প্রতিষ্ঠা,খ্যাতি,প্রতিপওি,যশ-সুনাম,মযাদা এসবের জন্যে পয়োজন শ্রম ও কঠোর সাধনা । অন্যথায় ব্যর্থতা এসে জীবনকে অক্টোপাসের মতো ঘিরে ফেলে ।কথায় বলে,‘পুণ্যূ আনে সুখ’-এ কথা তর্কাতীতভাবে সত্য ।শ্রমবিমুখতা ও অলসতা জীবনে বয়ে আনে নিদারুণ অভিশাপ ।ভাগ্যে নেমে আসে হতাশার কালরাতি্ নিরন্তর ও নিরলস শ্রমে জীবনাকাশ থেকে দারিদ্র্যের ঘনঘটা দূর হয়ে সফলতার নবীন সূযালোক উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে ।জীবনে অর্থ,বিদ্যা,যশ,প্রতিপওি অর্জন করতে হলে পরিশ্রম করতে হয় ।কর্মসাধনের মাধ্যমেই জীবনে সফলতার স্বর্ণদুয়ারে পৌ্ঁছানো সম্ভব ।তাই শ্রমেই সফলতা,শ্রমেই সুখ,শ্রমই জীবন ।বাস্তব জীবনে আপাতদৃষ্টিতে যাকে সৌভাগ্য বলে মনে হয় তা আসলে মানুষের উদ্যম,চেষ্টা ও শ্রমেরই সমারোহ।আধুনিক বিশ্বের প্রত্যেকটি উন্নত জাতির উন্নয়নের ইতিহাস পযালোচনা করলে দেখা যায়,তারা প্রত্যেকেই নিরন্তর প্রচেষ্টা ও শ্রমসাধনার বিনিময়ে উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করতে সক্ষম হয়েছে ।একমাএ শ্রমশক্তির মাধ্যমেই জীবনে অর্জিত হয় কাঙ্কিত সাফল্য,স্থিতি ও পরিপূর্ণতা ।নিরলস শ্রমসাধনায় সাফল্য অর্জন করে জীবজগতের মধ্যে মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের আসন দখল করেছে । সুতরাং জীবনকে সুষ্ঠু স্বাভাবিকভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে শ্রম ব্যতীত অন্য কোনো সহজ পথ নেই ।

যে জাতি পৃথিবীতে যত বেশি পরিশ্রমী সে জাতি তত উন্নত ।ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত পরিশ্রম এবং সাধনাই জাতির সৌভাগ্যের নিয়ামক । সৌভাগ্যের সূচনান জন্যে তাই মানুষের নিরন্তর পরিশ্রম করা প্রয়োজন । 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button