নানান দেশের নানান ভাষা বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা ?ভাবসম্প্রসারণ
নানান দেশের নানান ভাষা বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা ?
মাতৃভাষা যে কোনো মানুষের অস্তিত্বে ও আত্নপ্রকাশের অবিকল্প একটি বাহন ।স্বদেশি ভাষা বলতে মাতৃভাষাকেই বোঝায় ।কবিগুরু সবীন্দ্রনাথ বলছেন ,‘শিক্ষায় মাতৃভাষা মাতৃদগ্ধ স্বরূপ ।’মাতৃদুগ্ধ শিশুর পক্ষে যেমন পুষ্টিকর ’বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রে মাতৃভাষা তেমন সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম ।মাতৃভাষা প্রাণ-মনকে দেয় তৃপ্তি আর চিন্তা চেতনাকে দেয় দীপ্তি ।যে কোনো ব্যক্তিই যদি তার মাতৃভাষাকে কঠিন ও অবহেলাযোগ্য মনে করে ,তো তাকে মুর্খ ও পাশন্ড না-বলে উপায় নেই ।প্রতিদিনের ভাবের আলাপন ,সুখ –দুঃখ,আশা-নৈরাশ্য,আনন্দ-বেদনা,স্বপ্ন –কল্পনার প্রকাশ হয় মাতৃভাষায় ।তাই মাতৃভাষা মনোভাব প্রকাশে যত উপযোগী অন্য ভাষা ততোটা নয় ।বিদেশি ভাষায় যতই দক্ষতা অর্জন করুক,মাতৃভাষার ন্যায় এমন সাবলীলভাবে মনের ভাব প্রকাশ করা বিদেশি ভাষায় সম্ভব নয় ।মাতৃভাষার মনের ভাব প্রকাশ করতে মানুষ যতটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে এবং আনন্দ পায় ,অন্য ভাষা তা অসম্ভব ।কারণ মাতৃভাষার সঙ্গে রয়েছে তার আত্নিক সম্পর্ক ।এ সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য ।মোটকথা হলো মাতৃভাষা সহজাত আপন ভাষা,অন্য ভাষা পরের ভাষা ।মাতৃভাষা যেমন প্রাত্যহিক জীবনযাএার অবলম্বন ,তেমনি চিন্তা চেতনা ,জ্ঞান –বিজ্ঞান সাধনার মাধ্যমে হিসেবেও এর কোনো বিকল্প নেই ।তাই দেখা যায় মাতৃভাষার জ্ঞানানুশীলন ব্যতীত বিশ্বে কোনো জাতিই উন্নতি লাভ করতে পারেনি ।ইংরেজরা যেদিন ফরাসি ভাষাকে মাতৃভাষায় ওপর স্থান দিয়েছিল তখন সে দেশের সাহিত্যের স্ফুরণ হয়নি ।স্ফুরণ হয়েছিল যেদিন মার্টিন লুথার মাতৃভায়ার ওপরে স্থান দিয়েছিল তখন সে দেশের মানুষের বাইবেল ও মাতৃভাষা উভয়কেই অসীম মযাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করলেন ।রাশিয়াও মাতৃভাষাকে স্বীকার করেই জ্ঞান –বিজ্ঞান ,শিল্প ধারাকে গ্রহণ করেছিল ।সেদিন তার অগ্রগতি ছিল কুন্ঠিত ।তারপ মাতৃভাষার মাধ্যমেই তারা গৌরবময় অগ্রগতির পথে এগিয়ে গেছে ।
মাতৃভাষাই মানুষের মত প্রকাশের সর্বোওম বাহন ।মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ,বিমূর্ত চেতনা মাতৃভাষার মাধ্যমেই সঠিক প্রতিমূর্তি লাভ করে ।যে জাতি পৃথিবীতে শিক্ষা –দীক্ষা ,জ্ঞানচর্চা ,গবেষণা ইত্যাদি কাজে মাতৃভাষার যত বেশি চর্চা করেছে সে জাতির তত বেশি উন্নতি হয়েছে ।মাতৃভাষার ব্যাপক চর্চা ও প্রয়োগ ছাড়া জাতিয় বিকাশ সম্ভব নয় ।
নানান দেশের নানান ভাষা বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা ?
স্বদেশি ভাষা বলতে মাতৃভাষাকেই বোঝায় ।মাতৃভাষায় মনের ভাব যত সহজে ও অবলীলায় প্রকাশ করা যায় তা অন্য কোনে ভাষায় সম্ভব নয় ।বিদেশি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব হলেও মাতৃভাষার মতো চিন্তা- চেতনার বিকাশ ও তার সাবলীল প্রকাশ অন্য ভাষায় সম্ভব হয় না ।কারণ শিশুকাল থেকেই মানুষ মাতৃভাষা আয়ও করে ,মাতৃভাষায় কথা বলে ,মনের ভাভ প্রকাশিত করে অর্থাৎ মাতৃভাষা তার আবাল্য পরিচিত ,নিতান্তই মায়ের মতো আপন ।স্বদেশের মাটি,পানি ,বায়ু আর ভাষাকে ব্যবহার করে বেড়ে ওঠে মানুষ ।তাই মানুষের কথা বলার ও মনের ভাব প্রকাশের উৎকৃষ্ট বাহন মাতৃভাষা ।মাতৃভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করতে মানুষ যতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং আনন্দ উপভোগ করে অন্য কোনো ভাষায় তা অস্ভব ।পৃথিবীর প্রত্যেক জাতির মাতৃভাষার বিশিষ্টতা রয়েছে ।মাতৃভাষার সঙ্গে তাদের নিবিড় আত্নিক সম্পর্ক রয়েছে ।যে জাতি পৃথিবীতে শিক্ষাদীক্ষা ,জ্ঞনচর্চা ও গবেষণ কাযে মাতৃভাষার যত বেশি চর্চা করেছে সে জাতি তত বেশি উন্নত হয়েছে ।মাতৃভাষার ব্যাপক চর্চা ও প্রয়োগ ছাড়া জাতীয় বিকাশ সম্ভব নয় ।পৃথিবীর বিদ্বান ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা বিভিন্ন ভাষা শেখেন ,সাধনা করেন ,জ্ঞানের চর্চা করেন ।কিন্তু অর্জিত সাধনার ফল প্রকাশ করেন মাতৃভাষায় ।কারণ মাতৃভাষার দ্বারা যত সুন্দর ও সাবলীলভাবে মনের ভাব প্রকাশ করা যায় অন্য ভাষায় তা সম্ভব নয় ।
আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও বিমূর্ত চিন্তা –চেতনা মূর্তি লাভ করে মাতৃভাষার মাধ্যমেই ।তাই মাতৃভাষাই মানুষের মানুষের ভাব বিনিময়ের অন্যতম বাহন ।