ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে ভাবসম্প্রসারণ
ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে
ভাব সম্প্রসারণ : আজকের শিশুরাই আগামী স্বর্ণ –সম্ভাবনাময় দিনের ভবিষৎ ।তারাই হবে দেশ ও জাতির কর্ণধার ।
সমগ্র জাতিসওার ধারক ও বাহক হচ্ছে বর্তমানের শিশু ।আজকের শিশুরাই আগামী দিনে শতদলের মতো বিকশিত হয়ে জাতিকে দিক নির্দেশনা দেবে-দেশকে করে তুলবে গরীয়ান মহীয়ান ।শিশুর মধ্যে নিহিত থাকে অফুয়ান সম্ভাবনাময় প্রতিশুতি ।বীজের মধ্যে যেমন ফসলের সম্ভাবনা তেমনি শিশুর রয়েছে দেশ মাতৃকার উন্নতি,সমৃদ্ধি ও প্রগতির সম্ভাবনা ।একটি শিশু একটি জাতির উৎকৃষ্ট বীজ স্বরূপ ।যার মধ্যে অফরান প্রাণশক্বি ও সম্ভাবনাময় ভবিষৎ লুক্কায়িত ।তাই শিশুকে আত্নশক্তিতে বলীয়ান করে তুলতে চাই উপযুক্ত শিক্ষা ও পরিবেশ ।প্রতিটি শিশুকে যথার্থভাবে গড়ে তুলতে জাতিকে অবশ্যই যত্নবান হতে হবে ।আমাদের দেশে বহু শিশু অনাদর ও অবহেলায় বেঁচে থেকেও মানবেতর জীবনযাপন করেছে ।শিশুদের এ রাহু গ্রাস থেকে মুক্ত করতে হবে ।তবেই জাতি তার কাঙ্কিত সাফল্যে লাভ করতে পারবে ।আজকের শিশুরাই আগামী দিনে জাতিকে নেতৃত্ব দেবে ।তাই প্রতিটি শিশুকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলা জাতির দায়িত্ব ও কর্তব্য ।শিশুরা জাতির ভবিষৎ ।আজকের শিশু বড় হয়ে আগামী দিনের কর্ণধার হবে ।
ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে
মূলভাব : প্রতিটি শিশুই আগামী দিনের কর্ণধার ।
সম্প্রসারিত ভাব :শিশুই ভবিষৎ মানুষ ।ছোট শিশু একদিন বড় হয়ে সমাজে নিজ নিজ আসন দখল করবে ।তারাই একদিন হবে কবি ,সাহিত্যিক,বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক ।তারাই একদিন হবে ব্যবসায়ী ,শিল্পপতি ও সমাজকর্মী ।তারাই একদিন হবে সৈনিক ও বীর সেনাপতি ।প্রত্যেক শিশুর অন্তরে তার ভবিষৎ জীবনের সম্ভাবনা সংগোপনে লুকিয়ে থাকে ।বড় হলে শিশু কিরূপ চরিত্রের হকে ,তা তার শৈশবের কাযকলাপ ও আচার আচরণে কিছুটা হলেও ধরা পড়ে ।হযরত মুহম্মদ [স] বাল্যকালেই তাঁর বিপুল ভবিষৎ জীবনের মহান সম্ভাবনার পরিচয় দিয়েছিলেন ।অন্যান্য মহাপুরুষের বাল্যজীবন আলোচনা করলেও আমরা এ সত্যটিই দেখতে পাই ।তারা পরিণত জীবনে যে আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ,বাল্যকালে তার প্রতি তাঁদের আসক্তি দেখা গিয়েছে ।তাঁদের ভাবী মহও্ব বাল্যেই সূচিত হয়েছিল ।তাই আমাদের উচিত শিশুদের যথাযথ যত্ন নেয়া,তাদের সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলা ।তাহলে জাতি,দেশ তথা সমাজ আরো উন্নত হবে।