(গুণ করার নিয়মঃ) গণিতের গুরুত্বপূর্ণ চার পক্রিয়ার মধ্যে গুণ অন্যতম। গুণ সম্পর্কিত তিনটি রাশি হলো গুণ, গুণক, ও গুণফল। যে সংখ্যাকে গুন করা হয় তা গুণ্য, যে সংখ্যা দ্বারা গুণ করা হয় তা গুণক ্এবং গুণ করে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তা হলো গুণফল। গুণক একাধিক অঙ্কের হলে সকল অঙ্ক দ্বারা গুণ্যকে গুণ করে বিশিষ নিয়মে যোগ করে গুণফল পাওয়া যায়। আবার, বিশেষ ক্ষেত্রে সহজ পদ্ধতিতে গুণ করা যায়। গুণ পক্রিয়ার দক্ষতা অর্জনের অন্যতম উপায় হলো এ সম্পর্কিত খালিঘর পূরণ করা। গুণ পক্রিয়া আমাদের ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানে কাজে লাগে। দুই বা ততোধিক একই সংখ্যা একত্রে মিলে কত হয় তা যোগ করে বের করার চেয়ে গুণ পক্রিয়াই বের করা অনেক সহজ । এক্ষেত্রে সংখ্যা বেশি হলে গুণের কোনো বিকল্প নেই।
আরো পড়ুন: সমাস কি? সমাস কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?
আরো পড়ুন: গুণিতক কাকে বলে?
এই পোস্ট থেকে ্আমরা যা যা শিখবঃ
১। গুণ করার পক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে পারবো।
২। গুণ সম্পর্কিত খালি ঘর পূরণ করতে পারবো।
৩। গুণ সম্পর্কিত বাস্তব সমস্যা সমাধান করতে পারবো।
গুণ করার নিয়মঃ
প্রথম ধাপে
গুণকের একক স্থানীয় অঙ্ক দ্বারা গুণ্যকে গুণ করতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে প্রথম ধাপের গুণফলের একক স্থানীয় অঙ্কের নিচে শূন্য বসাতে হবে। এবং গুণকের দশক স্থানীয় অঙ্ক দ্বারা গুণ্যকে গুন করে উক্ত শূন্যের বামে লিখতে হবে। তৃতীয় ধাপে দ্বিতীয় ধাপের গুণফলের একক ও দশক স্থানীয় অঙ্কের নিচে শূণ্য বসাতে হব। এবং
গুণকের শতকের স্থানীয় অঙ্ক দ্বারা গুণ্যকে গুণ করে শূন্যদ্বয়ের বামে লিখতে হবে। এভাবে গুণকের যতটি অঙ্ক থাকে ততটি ধাপে গুণফল যোগ করে লিখতে হবে। অবশেষে ধাপগুলোর গুণফল যোগ করলে গাণিতিক সমস্যাটির গুণফল পাওয়া যাবে।
আরো পড়ৃন: গুণনীয়ক কাকে বলে?
সহজ পদ্ধতিতে গুণ করার নিয়মঃ
প্রথমে গুণক বা গুণ্যকে দু্ইটি সংখ্যার যোগফল বা বিয়োগফলরূপে প্রকাশ করতে হবে, লক্ষ্য রাখতে হবে যেন মানের কোনো পরিবর্তন না হয়। সংখ্যা দুইটি এমনভাবে নির্বাচন করতে হবে যেন যথাক্রমে গুণ্য বা গণক দ্বারা তাদেরকে গুণ করা সহজ হয়। যেমন:
গুণ্য ৯৯৯৯-১, কিন্তু গুণ্য ৩০১০= ৩০০০+১০।
তারপর সংখ্যা দুইটি যথাক্রমে গুণ্য বা গুণক দ্বারা গুণ করে প্রাপ্ত গুণফলদ্বয়ের বা বিয়োগফল নির্ণয় করতে হবে। যেমন: ৯৯৯৯*৪২৫
= ( ১০০০০-১) * ৪২৫
= (১০০০০*৪২৫) – (১*৪২৫)
৪২৫০০০০ – ৪২৫
৪২৪৯৫৭৫