এ জগতে হায়,সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি ,রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি ।

এ জগতে হায়,সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি ,রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি ।

এ জগতে হায়,সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি ,রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি ।


 ভাব সম্প্রসারণ : পৃথিবীতে সম্পদশালীর সম্পদের প্রতি তৃষ্ঞা দুর্নিবার ও অসীম ।তাদের চিরঅতৃপ্ত এ তৃষ্ঞাকে চরিতার্থে করার প্রয়াসে তারা অনাহারী ও নিরন্ন মানুষের সম্পদকেও কেড়ে নিতে কুন্ঠিত হয় না ।

ধনিকের দুর্নিবার সম্পদ –ক্ষুধার কোনো শেষ নেই ।তারা ক্রমাগত ধন –সঞ্চয়ে স্ফীত হয়ে উঠতে থাকে ।তাদের ধন-সংগ্রহ এবং ধন –সঞ্চয়ের পেছনে থাকে শোষণের নগ্ন ইতিহাস ।সমাজের দুর্বলতর অংশকে শোষণ করেই দিনের পর দিন তাদের ঐশ্বয স্ফীতকায় হয়ে উঠতে থাকে ।অন্যদিকে,বিশ্বের বিওহীনেরা তাদের শোষণে সর্বস্বান্তে হয়ে সাজে পথের ভিক্ষুক ।মেঘালযের চেরাপুন্ঞ্চি বিশ্বের সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের স্থান ।আর ,এশিয়ার গোবি এবং আফ্রিকার সাহারা বিশ্বের বৃষ্টিবিহীন মরুভূমির জীবন্ত উদাহরণ ।প্রকৃতির মর্মমূলেও আছে যেমন এক অসাম্যের প্রবণতা,মানুষের মধ্যেও আছে তেমনি বিওবানের বিও –সংগ্রহের একটি স্বাভাবিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ।বিওবানের এই অতিরিক্ত বিও-সংগ্রহের প্রবেণতার কারণে সমাজে দেখা দেয় চৌযবৃওি ।অনিবায হয়ে ওঠে নানা অশান্তি ,সংঘাত এবং সংগ্রাম ।পৃথিবীতে যারা পযাপ্ত সম্পদের মালিক ,যাদের ধনৈশ্বয অফুরন্ত,তাদের স্পদ –তৃষ্ঞা কোনোদিনই শেষ হয় না ।তারা যত পায়,তত চায় ।বিবেকহীন,হৃদয়হীন মানুষেরা নানাভাবে সামাজিক সম্পদ অপহরণ করে দিনের পর দিন নিজেদের মোটা পেট আরো মোটা করে চলে ।তাদের সেই নির্বিচার সম্পদ –সংগ্রহের লালসার হাত পড়ে গরিবের কানাকড়িতেও ।ধনিকের অপরিসীম ধনতৃষ্ঞা ক্রমাগত স্ফীতকায় হতে হতে একদিন দারিদ্রের সর্বশেষ সম্বল-তাদের সামান্য কানাকড়িকে ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের সম্পদ –তৃষ্ঞা মেটাতে বিবেকহীন হয়ে পড়ে ।এভাবে পৃথিবীর দরিদ্রেরা তাদের সব কিছু হারিয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে পথের ভিখারিতে পরিণত হয় ।সামাজিক নিরাপওার প্রয়োজনে ধনিকেরা উচিত অতিরিক্ত ধন-সংগ্রহ ও ধন-সন্ঞয় থেকে বিরত হওয়া ।

আজ পৃথিবীতে নবযুগ এলেও বৈষম্য কমে নি ।বিশ্বের সকল শান্তিকামী মানুষের সাধনাই আজ হল শোষণ এবং সামাজিক অবিচারে দূর করে সামাজিক সম্পদের ন্যায়সঙ্গত সমবন্টনের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তির এক সুস্ত পরিমন্ডল সৃষ্টি করা ।কিন্তু অবন্থাদৃষ্টে মনে হয়,আধিরক্যের গ্রাস থেকে ক্ষুদ্র ও সংক্ষিপ্ত আজও মুক্ত নয় ।

 এ জগতে হায়,সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি ,রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি ।
  

মূলভাব :পৃথিবীতে যার আছে ,সে আরো চায় ।তার যেন চাওয়ার কোনো শেষ নেই ।যত পায়,তত চায় ।

সম্প্রসারিত ভাব : পৃথিবীতে যারা প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক,যাদের প্রচুর আছে তাদের সম্পদ-তৃষ্ঞা কোনোদিন পরিতুপ্ত হয় না ।তারা যত পায় তত চায় ।অর্থ ও সম্পদের প্রতি লোভ দেখা যায় ।বিশেষ করে যারা অর্থশালী,সম্পদশালী তাদের মধ্যেই ।তারা তাদের সম্পদের প্রাচুযের উপর আরো সম্পদ স্তূপ করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে ।অর্থ সম্পদ লাভের জন্য তারা ন্যায়-অন্যায় বিচার করে না তাদের একমাএ উদ্দেশ্য অর্থ অর্জন করা ।এজন্য কিছু লোক হয়ত কঠোর পরিশ্রম করে দেশ-বিদেশে ঘুরে ,ন্যায়সঙ্গতভাবে টাকা উপার্জন করে ।কিন্তু কিছু লোক সম্পদ তৃষ্ঞায় অন্যায় –অত্যাচার করে,অন্যের সহায় সম্পওি কেড়ে নেয় ।এ রকম লোভ পাপ,কিন্তু এই অর্থের লোভ ত্যাগ করা তাদের পক্ষে কঠিন ।লোভের কোপানলে পড়ে স্বার্থান্ধ হয়ে যায় মানুষ ।এক পযায়ে তার দ্বারা সংঘটিত হয় নিকৃষ্ট কর্মকান্ড ।সে পশুর চেয়েও অধম হয়ে যায় ।সে যত পায় তত চায়;আরো চায়।তার চাওয়ার শেষ নেই ।এক সময় সে অধঃপতনের ও নিমস্তরে পৌঁছে যায় । 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button