অর্থই অনর্থের মূল ভাবসম্প্রসারণ

অর্থই অনর্থের মূল ।

অর্থই অনর্থের মূল ভাবসম্প্রসারণ

ভাব সমপ্রসারণ : স্রষ্টা মানুষকে শ্রেষ্ট হিসেবে সৃষ্টি করেছেন, অপরদিকে পার্থিব জীবনে মানুষের শ্রেষ্ঠ সৃষ্ঠি অর্থ । তাই অর্থ মানুষের নিয়ন্তণাধীন ,তথা অর্থকে সে পরিচালিত করে, এটাই স্বাভাবিক ।কিন্তু মানুষ যখন অর্থের কাছে জিম্মি হয়ে অর্থের দ্বারা নিয়ন্তিত হয়, তখনই জগৎসংসারে অর্থ অনর্থের মূল হয়ে দাড়ায় ।অ্রর্থ –সম্পদ মানবজীবনের জন্যে অপরিহায হলেও এর যথাযোগ্য ব্যবহার না হলে ব্যক্তি ও সমাজজীবনে নেমে আসে অকল্যাণ ।

জীবনধারণের জন্যে অর্থের প্রয়োজন অপরিহায । পার্থিব জীবনে অর্থ বা বিওই মানুষের একান্ত কামনা ।অর্থ বা সম্পদের –মোহে মানুষ জীবনসংগ্রামে লিপ্ত হয় । মানুষ তার কাঙ্কিত অর্থ উপার্জনের জন্যে কঠোর পরিশ্রম করে এবং নানা প্রতিকূল অবস্থার মোকাবিলা করে ।অর্থ মানুষের আজীবন প্রয়োজন মেটায় বলে অর্থ ছাড়া জীবন অর্থহীন বা মূল্যহীন বলে বিবেচিত হয় ।তাই সারাজীবন মানুষ অর্থর পেছনে ছোটে ।বর্তমান পৃথিবীতে একমাএ অর্থের মাপকাঠি দ্বারাই প্রতিপওি ও সম্মান নির্ণীত হয় বলে,কী করে অর্থ উপার্জন করা যায় তার জন্যে মানুষের চেষ্টার অন্ত নেই । বিপদে –আপদে ,উৎসবে-আনন্দ,জন্ন-মৃত্যুতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অর্থের প্রয়োজন । কিন্তু অর্থ ও সম্পদ অনেকসময় সুখও কল্যাণো বদলে অকল্যাণ বয়ে আনে ।জগতে সকল অপকর্মের মূলে অর্থ । অর্থই জীবনকে প্রবাহিত করে, আবার অর্থই জীবনকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে-অর্থই জীবন,অর্থই মৃত্যু।অর্থের লোভে নীতিবর্জিত হয়ে মানুষ অহরহ নানা দুষ্কর্মে লিপ্ত হয় ।অন্যায় পথে অর্জিত অর্থ মানুষকে বিবেকহীন ও দম্ভিক করে তোলে । অর্থের লালসা মানুষের নৈতিক অধঃপতন ঘটায়। অর্থের লোভেই চরিএহীন হয়ে মানুষ সমাজবিরোধী কাজে লিপ্ত হয় । পৃথিবীর সকল দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও অশান্তির মূলে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকে অর্থ । অর্থ-সম্পদের স্বার্থেই রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে যুদ্ধের উন্ন্দনা জাগে,শ্রমিকে-মালিকে বাধে মত-বিরোধ,ভাইয়ে-ভাইয়ে শুরু হয় চরম শএ্রুতা । অর্থের লোভেই মানুষ নৈতিকতা বিসর্জন দেয় । অর্থই মানুষকে ভুল পথে চালিত করে ।

সুষ্ঠু সমাজজীবন ও স্বাভাবিক জীবন অতিবাহিত করার জন্যে অর্থের প্রয়োজন অনস্বীকায । কিন্তু অর্থ যেন অনর্থের মূল না হয় তার দিকে লক্ষ রাখতে হবে । সকল অনর্থের মূল হিসেবে বিবেচিত অর্থ-সম্পদের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে ।মনে রাখতে হবে,অর্থের সুষ্ঠু ব্যবহারই এর মযাদা বৃদ্ধি করে । প্রসঙ্গত বেকনের উক্তিটি প্রণিধানযোগ্যঃটাকা –পয়সা ভৃত্য হিসেবে উওম হলেও মনিব হিসেবে একেবারে মন্দ।’

 অর্থই অনর্থের মূল ।

মূলভাব : জীবন চলতে হলে অর্থের প্রয়োজন । আর অতিরিক্ত অর্থ ও অর্থের কোপানলে পড়েও মানুষ ধ্বংস হয় ।

সম্প্রসারিত ভাব : জীবন ধারণের জন্য অর্থের প্রয়োজনীয়তা অপরিহায । পার্থিব জীবনে অর্থ বিওই মানুষের একান্ত কামনা ।অর্থ সম্পদের মোহে মানুষ জীবনে সংগ্রামে লিপ্ত হয় । মানুষ কাঙ্খিত অর্থ উপার্জনের ‍  জন্য কঠোর পরিশ্রম করে, নানা প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করে । বর্তমান পৃতিবীতে একমাএ অর্থের মাপকাঠি দ্বারাই প্রতিপওি ও সম্মান নির্ণীত হয় ।বিপদাপদে উৎসবে, জন্ন-মৃত্যুতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অর্থের প্রয়োজন ।তার মীর মশারফ হোসেন দুঃখ করে বলেছেন , জন্ন মাএ টাকা,জীবনে টাকা,জীবনান্তে টাকা, জগতে টাকারই খেলা ।”

নীতিবোধ বিবর্জিত অর্থলোভী মানুষ সমাজ নৈতিক পৃথিবীর সমস্ত অমঙ্গলের জন্য এ অর্থেই দায়ী। অর্থের লোভে নীতি বর্জিত হয়ে মানুষ অহরন নানা দুষ্কর্মে লিপ্ত হয় । অবক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় । পৃথিবীর যত দ্বন্দ্ব,অশান্তি ‍ও সংঘাতের মূল কারণ অর্থ । অর্থসম্পদের জন্য রাষ্ট্রে যুদ্ধের উন্নাদনা জাগে,শ্রমিক মালিক মতবিরোধ বাধে এবং ভাইয়ে ভাইয়ে শুরু হয় চরম শএুতা । অর্থের লাভেই মানুষ মানুষকে খুন করে । তাই জগতের সব অশান্তি অনর্থের মূলেই অর্থ । অর্থের লোভেই সীমার ইমাম হোসেনকে হত্যা করেছিল । অর্থের লোভেই মানুষ নৈতিকতা বিসর্জন দেয় । অর্থেই মানুষকে ভুল পথে চালিত করে । এই অর্থই মানুষের অধঃপতনের কারণ ।তাই মীর মশাররফ হোসেন দুঃখ করে বিষাদ সিন্ধু গ্রন্থে 

 

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button