অনুচ্ছেদ রচনা | গুরুত্বপূর্ণ কিছু অনুচ্ছেদ রচনা | snigdhasokal.com
অনুচ্ছেদ রচনা
বাক্য মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। কিন্তু সবসময় একটি বাক্যের মাধ্যমে মনের সম্পূর্ন ভাব প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। এজন্য প্রয়োজন একাধিক বাক্যের। মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করার জন্য পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত বাক্যের সমষ্টিই অনুচ্ছেদ।
অনুচ্ছেদ এবং প্রবন্ধ এক বিষয় নয়। কোনো বিষয়ের সকল দিক আলোচনা করতে হয় প্রবন্ধে। কোনো বিষয়ের একটি দিকের আলোচনা করা হয় এবং একটিমাত্র ভাব প্রকাশ পায় অনুচ্ছেদে। অনুচ্ছেদ রচনা কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। যেমন-
- একটি অনুচ্ছেদের মধ্যে একটিমাত্র ভাব প্রকাশ করতে হবে। অতিরিক্ত কোনো কথা লেখা যাবে না।
- সুশৃৃঙ্খলভাবে খুব বেশি বড় করা যাবে না।
- একই কথার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- যে বিষয়ে অনুচ্ছেদটি রচনা করা হবে তার গুরুত্বপূর্ণ দিকটি সহজ- সরল ভাষায় সন্দরভাবে তুলে ধরতে হবে।
১. অনুচ্ছেদ রচনা শান্তির ধর্ম ইসলাম
ইসলাম’ শব্দের অর্থ -আত্মসমর্পণ করা, যেমন চলা, আনুগত্য করা ইত্যাদি । আল্ল হ রাব্বূল কআলামীনের পক্ষ হতে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স) যে শাশ্বত জীবনবিধান নিয়ে এসছেন তাই ইসলাম। ইসলামের আগমন হয়ে ছে মানবকল্যাণে এবং মানবতার মুক্তি দিতে। মানবজীবনের সকল সমস্যার বাস্তবসম্মত সমাধান রয়েছে ইসলামে। ইসলামের কসুশীতল ছায়াতলে এসে মযলুম মানবতা পেয়েছে মুক্তির দিশা। অত্যাচারিত, অবহেলিত ও বিপর্যস্ত মানুষ পেয়েছে শান্তির ঠিকানা। মহনবী (স) যখন যখন পৃথিবীর বুকে আগমন করেন তখন সাধারণ মানুষ ছিল নির্যাতিত, নিষ্পেষিত ও অধিকারহারা। এমনি এক সংকটময় মুহুর্তে মহানবী (স) মানুষের মাঝে নিয়ে আসলেন সাম্যের বাণী এবং বঞ্চিতের অধিকার সংসক্ষণে তিনি উপস্থাপন করলেন এক ন্যায়নীতির আদর্শ ইসলাম। ইসলামই পৃথিবীতে সমঅধিকারের ভিত্তিতে বিশ্বভ্রাতৃত্বের জন্ম দিয়েছ্। ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা, উঁচু-নিচুর ভেদাভেদ ধূলিসাৎ করে ইসলামই সর্বপ্রথম মানুষেরে মাঝে মানবতাবোধের ধারণা জন্ম দেয়। ইসলাম নারীর যথাযোগ্য মর্যাদা দান করে তার হৃত গৌরব প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রাক আসলাম যুগে যেখানে নারী পণ্যের মতো বিক্রি হতো, যেখানে কণ্যসন্তানকে জীবন্ত প্রেথিত করা হতো, সেখানে ইসলামই সর্বপ্রথম নারীকে উপর্যুক্ত সামাজিক মর্যাদা প্রদান করেছে। পরিপূর্ণ ইনসাফের ভিত্তিতে ইসলাম সমাজ শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ইসলাম এক প্রতিবেশী অন্য প্রতিবেশী আমানতস্বরূপ। প্রতিবেশির ইজ্জত- আবরু ও ধন সম্পদ রক্ষা করা, তার বিপদাপদে এগিয়ে আসা, তার উপস্থিতি -অনুপস্থিতিতে কল্যাণ কামনা করা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। ইসলাম পৃথিবীর বুকে উপহার দিয়েছে কল্যাণ ও শান্তির ধর্ম। মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগের সকল সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধান একমাত্র ইসলামই দিয়েছে, বিধায় ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান।
২. অনুচ্ছেদ রচনা চরিত্র
ইং রেজি প্রবাদে রয়েছে – Character is the crown of a man. অর্থাৎ চরিত্র হলো মানুষের মুকুটস্বরূপ। মানুষের পারস্পরিক আচার- আচরণের তার চরিত্রের প্রকাশ ঘটে। তাই মানব কার্যাবলির ভিত্তিতে চরিত্রের দুটি ধারা রয়েছে। যথা – সচ্চরিত্র ও অসচ্চরিত্র। সত্যবাদিতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, প্রতিজ্ঞারক্ষা, বিনয়-নম্রতা, সৎ সাহস, স্বাবলম্বন, অধ্যবসায়, বুদ্ধিমত্তা, স্বদেশপ্রেম, শ্রদ্ধা- রেহবোধ ও পরোপকার ইত্যাদি গুণাবলির সমন্বিত রূপ হলো সচ্চরিত্র। যার মধ্যে এ গুণগুলো বিদ্যমান, তাকেই সচ্চরিত্রবান বলা হয়। মানুষের মদ্যে সমাজ ও নিজেকে কলুষত করার মতো কতগুলো খারাপ দিক রয়েছে, সেগুলোই অসচ্চরিত্র। যাবতীয় পাপাচার-অনাচারের প্রকাশ ঘটে চরিত্রহীন ব্যক্তির দ্বারা। অসচ্চরিত্রের লোকেরা সমাজের কলঙ্ক। সামজে সে গৃণিত শয়তান। চরিত্রবান ব্যক্তির সামাজিক মূল সবার উপরে। প্রাচীনকালে একজন রাজা অপেক্ষা একজন সাধু পুরুষের সম্মান বেশি ছিল্ কিন্তু বর্তমানে সৎ চরিত্রের খুব একটা মূল্যায়ন হচ্ছে না। অসৎ চরিত্রের মূল্যায়নই যেন বর্তমা সমাজে অগ্রগণ্য। তথাপি অসৎ চরিত্রের লোক আত্মাগ্লানিতে ভোগে। তার নৈতিক ভিত্তি দুর্বল। প্রকৃত অর্তে, একজন চরিত্রহীন ব্যক্তির জীবন বৃথা্ সে মানব সামজের কলঙ্ক। তাকে কেউ ভালোবাসে না্। তারই আশ্রয়ে সমাজে নানা অনাচারের প্রসার ঘটে। তাই সকলে তাকে ঘৃণা করে। মানুষের পারিপার্শ্বিক অবস্থার ওপর তার চরিত্রগঠন নির্ভর করে। তাই চরিত্র গঠনের জন্য বা নিজেকে চরিত্রবান করে গড়েতোলার জন্য শৈশবই চরিত্র গঠণের প্রকৃষ্ট সময়ত। তাই এ সময় থেকেই শিশুদের সত্যবাদিতা, আত্মসংযম, আত্ম বিশ্বাস, দয়া, ক্ষমা প্রভৃতি সদগুণের প্রশি ক্ষণ দিতে হবে।
৩.অনুচ্ছেদ রচনা মানবাধিকার
মানবাধিকার মানে নর-নারীর সেইসব মৌলিক চাহিদা যেগুলো মানুষ হিসেবে প্রত্যেকেই আশা করতে পারে । সাধারণত মনে করা হয়, মানবজীবনের মৌলিক চাহিাগুলো মেটাবার জন্য প্রত্যেক জীবিত ব্যক্তির কতকগুলো সাধারণ অধিকার । এগুলো হচ্ছে-মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা, জীবনের নিরাপওা, নাগরিকত্বের অধিকার, ভোট দেয়ার অধিকার, েশিক্ষঅ ও ন্যায়বিচারের অধিকার প্রভৃতি। অধিকারের বর্ণনা এভাবে দেয়া যায় -কোনো মানুষের জীবনের পরমার্ত অর্জনের লক্ষ্যে যথার্থরূ পে তার দৈহিক, মানুসিক এব্য আত্নিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নতি সাধন করার জন্য আইনের দ্বারা স্বীকৃত যেসব সুবিধা তাকে দেয়া হয় সেগুলোই হচ্ছে তার অধিকার।
আমাদের দেশের অধিকাংশ শিশুই শিক্ষার অধিকার। চিকিৎসা সেবার অধিকার, জবরদস্তিমূলকভাবে শ্রমদানে বাধ্য হওয়া থেকে মুক্ত থাকার অধিকার প্রভৃতি থেকে বঞ্চিত। নারীদের অধিকারও মানবধিকারের অন্তর্ভুক্ত। অধিকাংশ নারীেই দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে । আমাদের দেশে উৎপাদনশীল শ্রমদানের ব্যাপারে নারীরা পুরুষের সমান,কিন্তু শ্রমের বৈষম্যহীন বিনিময় থেকে নারীরা অন্তর্ভুক্ত। অনেক স্থানেই মানুস ধর্মীয় অধিকার উপভোগ করতে ব্যর্থ হয় । যেসব অমানবিক আচরণ ও শাস্তি মানুষের স্বভাবের পরিপন্থী, মানবাধিকার সেগুলো সমর্থন করে না । পৃথিবীর সর্বএই সন্ত্রাস চলছে এবং মানুষ অমানবিক কষ্ট পাচ্ছে। মানুলে ভোট দেয়ার অধিকার যথাযথভঅবে সম্পর্ণরুপে প্রতিষ্টিত করা আমাদের কর্তব্য।
৪.অনুচ্ছেদ রচনা নারীশিক্ষা
নারীশিক্ষা মানে স্ত্রীলোকদের শিক্ষা। বাংলাদেশে নারীশিক্ষার অবস্থা মোটেই সন্তোষজনক নয়। অতীতে মানুষের মাঝে এ রীতি প্রচলিত ছিল যে, স্ত্রীলোকেরা তাদের বাড়ির সীমানার ভেতরে থাকবে এবং শুধু ঘরকন্নার কাজ করবে। সে সময়ে স্ত্রীলোকেরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল । সামাজিক কুুসংস্কারের কারণে তারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারত না এবং কোনো স্বেচ্ছামূলক কাজকর্মে অংশগ্রহণ করতে পারত না । বর্তমানে এ ধারণার পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু তাদের ভাগ্যের সম্পুর্ণ পরিবর্তন ঘটেনি । ধীরে ধীরে পড়াশোনার প্রতি তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে িএবং স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে তাদর ভর্তি করা হচ্ছে। আমাদের নারীরা শিক্ষায় এবং সচেতনতায় পেছনে পড়ে আছে। আমাদের দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৫৮%, কিন্তু নারী সাক্ষরতার হার পুরুষের তুলনায় প্রায়৫%কম। অশিক্ষিত মানুষকে অন্ধের চেয়ে উওম বলে গণ্য করা চলে না । শিক্ষিত মায়েরা একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিতে পারে। আমরা যখন নিরক্ষরমুক্ত সমাজের স্বপ্ন দেখি, তখন সর্বাগ্নে সকাল নারীকে শিক্ষিত করে তোলার বিষয়টি আমাদের চিন্তা করা উচিত। মান যতি শিক্ষিত হয় তাহলে তার কোনো সন্তান কঅনো নিরক্ষর থাকবে না । শিক্ষিত নারী তার পরিবরকে আর্থিকভাবেও সাহায্য করতে পারে। সরকার নারীশিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক করেছে। দেশের সকল নারীকে শিক্ষিত করে তোলার জন্য অবিলেম্বে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক ।
৫.অনুচ্ছেদ রচনা আতিথেয়তা
কারো বাড়িতে কোনো অতিথি বা আগন্তুককে বন্ধুত্বপূর্ণ, উদারতা এবং যত্নসহকারে আপ্যায়নকে বলা হয় আতিথেয়তা। একটা সময় ছিল যখন গোটা ভারতবর্ষে আতিথেয়তাকে উৎসাহিত করা হতো । লোকজন শত শত মাইল কোনো কপর্দক ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারতেন। সেসব দিন শেষ। আজকাল লোকজন তাদের আচার-আচরণে ব্যবসায়িক হয়ে গেছে। কোনো আগন্তুককে আপ্যায়নের কষ।টটকু তারা করতে চায় না। অথচ সব ধর্মেই আতিথেয়াতাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। সমাজে আতিয়েয়তা শান্তি ও সম্প্রীতি বয়ে আনে। এটা মানুষকে উদার ও সহনশীল হতে শেখায়। এটা অবশ্যই সমাজে সন্ত্রাস ও শ্রেণিবিরোধ কমায়। এখানেই আতিথেয়তার গুরুত্ব নিহিত। একটি অধিকতর উন্নত ও সুস্থত সমাজ গড়তে ঘরে -বাইরে আমাদের আতিথেয়তার চর্চা করা উচিত।
৬.অনুচ্ছেদ রচনা অবসর
অবসর হলো সেই সময় যখন একজন লোক তার কাজকর্ম থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকে। অবসরে একজনে লোক শুধূ কাজ থেকেই মুক্ত নয়, দুচিন্তা এবং উওেজনা থেকেও মুক্ত। অন্য কথায় বলা যায়, এটা সেই সময় যখন একজন মানুষ নিজেই নিজের কর্তা এবং যে সময় মন থাকে স্থির এবং শরীর থোকে বিশ্রামে । আমাদের জীবনকে সুখী ও শান্তিময় করার জন্য কাজ ও দুশ্চিন্ত থেকে কিঞ্জিত বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য তাই মনীষী হুপার লিখেছিলেন,
আমি নিদ্রা গেলাম এবং স্বপ্নে দেখলাম জীবন সুন্দর আমি জাগ্রত হলাম এবং জীবনকে পেলাম কর্মময়।’
বাস্তবিকই আমাদের জীবন দায়িত্বে পরিপূর্ণ। একের পর এক দায়িত্ব পালন করে মনে হয়, আমাদের জীবন যেন এক ক্লানিতকর ব্যবস্থা। জীবনের করুণ পরিণিতি এই যে ,আমরা আমাদের কাজ ও দুচিন্তা এড়াতে পারিনা । কিন্তু অবসর আমাদের এই শিকল থেকে মুক্তি দেয় ৈএবং আমাদেরকে সতেজ ও শক্তি পুনরুদ্ধারে সক্ষম করে তোলে। অবসর একটু ভিন্নতার স্পর্শে আমাদের একঞেয়েমি দূর করে ।মানুষের জীবন সাধারণত ছকে বাঁধা, অবসর আমাদের এই ছকের কারগার হতে মুক্রির এবং মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নেয়ার সুযোগ এনে দেয়। এভাবে অবসর যখনই আসে তা আনন্দের উৎস হয়ে ওঠে। তাই সুখী ও শঅন্তিময় জীবনযাপনের জন্য সকলের অবসর খুঁজে বের করা উচিত এব্য তা উপভোগ করা উচিত।
৭.অনুচ্ছেদ রচনা আমার দৈনন্দিন জীবনঃ
দৈনন্দিন জীবনযােএা একটা নির্ধারিত ছকে আবদ্ধ। আমি খুব সকারে ঘুম থেকে উঠি। এরপর অযু করে ফজরের নামায আদায় করার জন্য মসজিদে যাই। ্এখানে থেকে আমি প্রাতঃভ্রমণে বের হই। প্রাতঃভ্রমণেশেষে বাসায় ফিরে পড়তে বসি এবং সাড়ে আটটা পর্যন্ত আমি পড়াশোনা করি। এরপর আমি প্রাতরাশ খাই এবং বাড়ির কাজ শেষ করি। সকাল দশটার মধ্যে আমি গোসল ও খাওয়া সেরে নিই এবং মাদরাসায় যাওয়ার জন্য তৈরি হেই। আমি সময়নিশ্ঠভাবে ক্লাশে যািই এবং ধৈর্য ও ৈএকাগ্রতা সহকারে শিক্ষকদের বক্ততা শুনি। বিকেল চারটার সময় মাদরাসা থেকে ফিরে আসি। এরপর পোশাক পরিবর্তন করে এবং হাত-মুখ ধুয়ে মায়ের পরিবেশন করা খাবার খােই । খাবার শেষে একটু বিশ্রাম নিয়ে বন্ধুদের সাথে মাঠে খেলতে যািই। সূর্যাস্তের আগেই বাড়ি ফিরে এসে মাগরিবের নামায পড়ি এবং এরপর পড়তে বসি। রাত নয়টার সময় রাতের খাবার খেয়ে বাবা মা,ভাইবোনের সাথে টিভির অনুষ্টান উপভোগ করি। এরপর এশার নামায শেষ করে ১১টায় শুয়ে পড়ি।
৮.অনুচ্ছেদ রচনা মে দিবসঃ
মে দিবস কর্মজীবী লোকদের একটি আন্তর্জাতিক ছুটির দিন। ১৮৮৬ সালের মে মাসে আমেরিকার শিকাগো শহরে শোষণের তীব্র বেদনায় আত্নদানকারী শ্রমিকরা মানুষরু পে স্বীকৃতি পাওয়ার স্লোগান তোলে। তারা যাতে মানুষের মতো বাঁচে পারে সেই উদ্দেশ্যে এই আন্দোলনে তাদের কর্মঘন্টা নির্ধারণে এবং তাদের কতকগুলো মৌলিক সুযোগ -সুবিধা প্রদানের দাবি তোলে। নিঃসন্দেহে এটি ছিল ধনিক শ্রেণির ওপর এক নৈতিক আঘাত। ফলে শিকাগো শহরের রাজপথগুলো শ্রমিকদের উষ্ণ রক্তে রক্তিম বর্ণ ধারণ করে। শ্রমিকদের কন্ঠ স্তদ্ধ করে দেয়ার জন্য পুঁজিবাদী সরকার এবং তার প্রতিনিধিরা সম্ভাব্য সকল পন্থাই অবলম্বন করে। শ্রমিক নেতাদের ফাঁসি দেয়া হয়। কিন্তু অদম্য শ্রমিকেরা জীবন বিসর্জন দিয় সফলতা অর্জন করে। বার -তের ঘন্টার পরিবর্তে আট ঘন্টা কর্ম সময়ের দাবি গৃহীত হয় িএবং তাদের জীবনধারণের কতকগুলো সুবিধা দেয়া হয় । মে দিবসে গোটা পৃথিবীতে শ্রমিকদের একটি প্রতীক। দিবসটি শ্রমিকদের আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃত্ব ্ও ঐক্যবন্ধনের একটি উদ্যম । তাই উন্নতি ও সুখের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মে দিবসে সকল শ্রমিকের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।
৯.অনুচ্ছেদ রচনা আমাদের জাতীয় পতাকাঃ
একজন জাতীয় পতাকা আমাদের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির প্রতীক। এর আকৃৃতি আয়তক্ষেত্রের মতো। এতে সবুজের মাঝে একটি লাল বৃও রয়েছে। পতাকাটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত হলো১০ঃ৬ । প্রয়াত শিল্পী কামরুল হাসান এর নকশা তৈরি করেন। এটি বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উওোলন করা হয়। ১৯৭১-এর ২ মার্চ সর্বপ্রথম এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উওোলন করা হয়্ । তখন ঐ পতাকা নকশা কিছূটা ভিন্ন ছিল। বাংলাদেশের মানচিএটি তখন পতাকার মাঝখানে ছিল। পরবর্তীকালে জাতীয় পতাকা থেকে বাংলাদেশের মানচি্ে্রে বাদ দেয়া হয় ।আমাদের জাতীয় পতাকা আমাদের পরিচায়বাহী। দেশের সম্মান রক্ষার্থে এটি আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। জাতীয় পতাকা আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। প্রায়৩০ লাখ মানুষের শহিদ হওয়ার বিনিময়ে আমরা এ পতাকা অর্জন করেছি। প্রকৃতপক্ষে এটি এক টুকরো কাপড়ের তৈরি হলেও এটি রক্তে নির্মিত আমাদের দেশের স্বাধীন পতাকা।
১০. অনুচ্ছেদ রচনা দেশপ্রেমঃ
দেশপ্রেম হলো স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা । এটি মানবদেহের সবচেয়ে সুন্দর এবং মহৎ ভাবানুভূতিসমূহের একটি। যে দেশের আমরা জন্নগ্রহণ করি সে দেশের প্রতি আমাদের যথোপযুক্ত কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করা উচিত। ্আমরা ্এ দেশে থেকেই আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানীয় পাই। আমরা যাতে একটি সভ্য ও সামাজিক জীবনযাপন করতে পারি সেজন্য এ দেশ আমাদের পরিবরা, বন্ধু এবং পরিচিতজনদের এসব সরবরাহ করে। আমাদের শিক্ষা এবং সংস্কৃতিও তাঁর ইতিহাসে থেকে নির্দেশনা ও রুপরেখা গ্রহণ করে। সংক্ষেপে বলতে গেলে জীবনে আমরা যা কিছু উপভোগ করি, যা মানব অস্তিত্বকে অপরাপর সব অস্তিত্বের চেয়ে শ্রেষ্ঠতর করে তার সবকিছুর জন্য আমরা জন্নভূমির কাছে রৃণি । েএজন্য সর্বএই তাকে মায়ের প্রতি প্রবল অনুরাগে অনুরক্ত হয় এবং দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে পারাকে সম্মান ও বিশেষ অনুগ্রহ বলে বিবেচননা করে। দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রতিটি মানুষের কাছে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক । স্বাভাবিক সময়ে আমরা এ বিষয়ে সচেতন না থাকতে পারি,কিন্তু যখন দেশের আহব্বান আমাদের কানে পেূঁছায় তখন আমরা তাকে অনুভক করি। আমাদের দেশের জনগন এর সাম্প্রতকও মহওম প্রমাণ উপস্থাপন করেছে পাকিস্তানের আক্রমণের সময়,যার ফলে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। নারী-পুরূষ নির্বিশেষে বিপুল সংখ্যক লোক আমাদের দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে। এমন দেশপ্রেম একজন মানুষের সর্বোওম গুণ।
১১.অনুচ্ছেদ রচনা শিশুদের অধিকারঃ
অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশেই শিশুদের অধিকার অবহেলিত হচ্ছে। আইনসঙ্গতভাবে স্বীকৃত কিছু সুবিধা মানুষকে দেয়া হয় তার দৈহিক, মানসিক এবং আধ্যত্নিক উন্নয়নের মাধ্যমে জীবনের পরম সার্থকা অর্জনে সফল হওয়ার লক্ষ্যে -সেগুলোকেই অধিকারু পে চিহিৃত করা যেতে পারে। জাতিসংঘের জেনেভা কনভেনশনে শিশুদের জন্য কতকগুলো মৌলিক অধিকার নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে ।সেগুলো হচ্ছে-(১)সকল প্রকার ভয়ভীতি থেকে সুরক্ষার অধিকার,(২)বেঁচে থাকার অধিকার,(৩)শিক্ষার অধিকার,(৪)সুস্থভাবে দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধির অধিকার,(৫)স্বাস্থ্য রক্ষা ও সুস্থতার অধিকার েএবং (৬(বলপূর্বক কাজে নিয়োজিক না হওয়ার অধিকার। বিশেষ করে সকল প্রকার ভয়ভীতি থেকে শিশুদেরকে সুরক্ষা করা উচিত। সমাজের কর্তব্য হচ্ছে,বিঘ্নসঙ্কুল যাবতীয় পরিস্থিতি থেকে তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখা ।তাদের অন্ন,বস্ত্র ,শিক্ষা ,বাসস্থান ও চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। সেই সঙ্গে তাদেরকে সৎ গুণাবলি এবং সৎ চিন্তা অনুশীলন করার জন্য যাবতীয় সুযোগ করে দেয়া। বস্তুত শিশুদের জন্য সকল প্রকার যত্ন ও পরিচর্যার ব্যবস্থা করতে হবে যেন তারা উপযুক্ত নাগরিক ও সার্থক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। এ দায়িত্ব শিশুর অভিভাবক ,সমাজ ও রাষ্ট্রের ওপর বর্তায়।