অদৃষ্টের শুধালেম,চিরদিন পিছে ভাবসম্প্রসারণ

 অদৃষ্টের শুধালেম,চিরদিন পিছে

অদৃষ্টের শুধালেম,চিরদিন পিছে ভাবসম্প্রসারণ


 ভাব সম্পসারণ: মানুষ নিজেই তার নিজের জীবনের প্রকৃত রূপকার ।প্রতিকূল শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে এগোতে হয় মানুষকে ।তাতে জয়-পরাজয়ের আনন্দ –দুঃখ ,উল্লাস-বেদনা আছে।কিন্তু কিছু পরাভূত ভাগ্যহত মানুষের ধারণা তাদের পরাভবের পেছনে আছে এমন এক অদৃশ্য অমোঘ দৈব শক্তি,যা তাদের বিড়ম্বিত ভাগ্যবিপযয়ের কারণ ।এই অদৃশ্য শক্তিই ‘অদৃষ্ট’বা ‘নিয়তি’বলে অভিহিত ।এ শক্তি নাকি মানুষের করায়ওের বাইরে,সাধ্যের অতীত ,এর হাতে মানুষ কী্ড়নক’মানুষের ভাগ্য নিয়ন্তিত । বস্তুত যারা ভীরু,দুর্বল,যাদের আত্নবিশ্বাস কম,শুধু তারাই অদৃষ্টবাদী ।মানুষ অধ্যবসায়ও একনিষ্ট শ্রমের দ্বারা তার নিজ ভাগ্যকে সার্থক করে তোলে ।

এ জগৎ সংসারে প্রতিটি মানুষের অগ্রযাএা নির্ভর করে তার সচেতন ও সক্রিয় কর্মপ্রয়াসের ওপর ।কর্মজীবনের সফল প্রতিটি মানুষই নিজেদের চেষ্টা,সাধনা ও শ্রমে রচনা করেছেন নিজেদের সৌভাগ্য ।কিন্তু আজও কোন কোন বিপন্ন মানুষকে ভাগ্যের দোহাই দিয়ে নিশ্চেষ্ট হতে দেখা যায় ।আজও বিপযয়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কেউ কেউ নিজেকে সমর্পন করে অদৃষ্টর অলূীক হাতে ।তাদের ধারণা এক অদৃশ্য দৈবশক্তি নেপথ্য থেকে জীবনের প্রতিটি মুতূর্তকে চালনা করে চলেছে ।বস্তুত নিয়তি,দৈবশক্তি বা অদৃষ্ট মানুষের জীবনধারাকে নিয়ন্তণ করে না ।মানুষের কর্মধারাই গড়ে  তোলে তার জীবনকে ।অতীতের কর্মই তাকে ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ,আর বর্তমানের মর্মের ভিওির ওপর দাঁড়িয়েছে সে ভবিষ্যৎপানে এগুচ্ছে ।এটাই জগতের কর্মচক্র ও জীবনচকের গতি ।যৌবনশক্তির দুর্বার গতিবেগে প্রাণচঞ্চল যারা,দর্মর সংগ্রামের ক্ষুরধার পথে হাঁটাই তাদের ধর্ম ।অদৃশ্য দৈবী শক্তিতে তারা বিশ্বাসী নয়,সংগ্রামে-সংঘাতের মধ্য দিয়ে জীবনের শ্রেষ্ঠ ফসলটি তুলে নেওয়াই তাদের লক্ষ্য ।তাদের দৃঢ় প্রত্যয় হলো ভাগ্য মানুষকে চালিত করে না,মানুষেই ভাগ্য গড়ে ।কর্ম হলো সুপ্রসন্ন সৌভাগৌর জনক ।অদৃষ্টের দোহাই দিয়ে কর্মবিমুখতা নিজের শক্তিমওার কাছ থেকে পলায়ানি মনোবৃওির নামান্তর ।কর্মবীর মানুষই সৌভাগ্যে স্বর্ণশীর্ষে হয় আসীন।অপরদিকে অদৃষ্টনির্ভর মানুষ তার নিশ্চেষ্ট আলস্যহেতু পদে পদে বরণ করে পরাজয়,জীবনভর তাতে হতাশায় নিরাশায় দীর্ঘশ্বাসের সেতু রচনা করতে হয় ।এজন্য ভবিষ্যৎ জীবনকে সহজ ও সুন্দর ,সুখ ও আনন্দময় করতে হলে মানুষকে বর্তমান মুহূর্তকে কাজে লাগাতে হয় ।একনিষ্ঠ শ্রমে ও সাধনায় রচনা করতে হয় ভবিষ্যৎ জীবনের ভিওি ।সে কাজ যদি ভালো হয় তবে তার ফলও হয় ভালো ।কর্মমুখর অতীত রচনা করে সুন্দর বর্তমান ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কর্মহীন অতীত জন্ন দেয় অন্ধকারাচছন্ন ভবিষ্যতের ।অতীত মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য অধ্যায় ।অতীত নীরবে মানুষের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবনের ওপর তার প্রভাব রাখে ।অতীতের ওপর ভিওি করেই মানুষের আগমী দিনের জীবন গড়ে ওঠে ।অতীতের কৃতকর্ম,কর্মপ্রেরণা ,অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে যায় ।তাই জীবনের ব্যর্থতার দায় অদৃষ্টের ওপর চাপিয়ে হা-হুতাশ না করে প্রত্যেকেরই উচিত আত্নশক্তিতে বলীয়ান হয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্মাণে সচেষ্ট ও ব্রতী হওয়া ।

                                                  

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button